1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে পাটের ঐতিহ্য ফিরে পাবার

রফিকুল ইসলাম প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৯:৫৫ এএম সম্ভাবনা  সৃষ্টি হয়েছে পাটের  ঐতিহ্য ফিরে পাবার

কাঁচাপাট ব্যবসায় আবার পূর্বের ঐতিহ্য ফিরে পাবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাট রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) চেয়ারম্যান শেখ সাঈদ আলী।

তিনি বলেন, বার বার কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধের সিধান্তের কারনেই দেশে পাট ব্যবসায় ধস নামছে। তবে পাট ব্যবসার এই সংকটময় পরিস্থিতিতেও এখনো দেশে ৭০ থেকে ৮০ বেল পাট উৎপাদন হচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এর মাত্রা ছাড়িয়ে আরো বিপুল পরিমান পাট উৎপাদন হবে। এতে করে কাঁটাপাট আবার ঘুরে দাঁড়াবে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের ভাগ্য ফিরে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।

শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্য্যালয়ের আফজাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৫৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ সাঈদ আলী এ সম্ভাবনার কথা জানান।

সভায় বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু রহমান ভূঁইয়া বলেন, পাট ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দেশে শত কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় হলেও সরকার পাট ব্যবসায়ীদের জন্য সাবসিডি (ভর্তুকি) দেয়নি। কাঁচাপাট রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা গুদাম সংকটের কথা উল্লেখ করে এ ক্ষেত্রে সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন। তারা বলেন, দেশে বিপুল পরিমান পাট উৎপাদনের ফলে এই ব্যবসার উন্নতির সম্ভাবনার সৃষ্টি হলেও পর্যাপ্ত পরিমানে গুদাম না থাকায় অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। সরকার সুলভ মূল্যে গুদাম বরাদ্দ না দিলে প্রাচ্যের ড্যান্ডি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহি পাট ব্যবসা বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশংকা করছেন তারা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে আরজু রহমান ভূঁইয়া বলেন, দেশের পূরাকীর্তি সংরক্ষণের জন্য সরকার শত শত কোটি টাকা ব্যয় করলেও ঐতিহ্যবাহি পাট ব্যবসায় রক্ষায় তেমন সাড়া দিচ্ছে না। পাট ব্যবসা রক্ষার জন্য সরকারকে নতুন চেতনা সৃষ্টি করে আধুনিক ও উন্নত চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। পাটের গুদামের জন্য সরকারের কাছে নতুন করে দাবি উত্থাপন করার সিদ্ধান্তের কথাও জানান তারা। কাঁচাপাটের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি রয়েছে উল্লেখ করে জুট এ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, এ বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে সহযোগিতা চাইবেন।

সভায় জানানো হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৯শ৯৯ বেল কাঁচাপাট রপ্তানী করে ৮শ৫৯ কোটি ৫ লাখ টাকা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮ বেল কাঁচাপাট রপ্তানী করে ১শ৩৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া তিনটি ব্যাংকের একাউন্টে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের পৌনে ২ কোটি টাকা এফডিআর রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশনের নব-নির্বাচিত কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু রহমান ভূইয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন-সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ সাঈদ আলী, সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন ও পরিচালক লিয়াকত হোসেনসহ অন্যান্য পরিচালকরা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কাাঁচাপাট রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীরা এই বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশগ্রহন করেন।

 

আগামী নিউজ/ এসআর 

 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner