1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

রাবির ইমেরিটাস অধ্যাপক এবিএম হোসেন মারা গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২০, ১২:৪৫ পিএম রাবির ইমেরিটাস অধ্যাপক এবিএম হোসেন মারা গেছেন

ঢাকা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ইমেরিটাস প্রফেসর এবিএম হোসেন শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রাবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এবিএম হোসেন স্যারের মৃত্যুতে আমরা একজন অভিভাবক হারালাম। জাতি হারাল একজন বিদগ্ধজন। আমরা তার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

এর কয়েকদিন আগে ইমেরিটাস প্রফেসর ড. ফখরুল ইসলাম মারা যান। ১০ দিনের ব্যবধানে দুই শিক্ষককে হারিয়ে শেকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।

মোশারফ হোসেন এবিএম হোসেন নামেই পরিচিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই এমিরেটাস অধ্যাপক ইসলামী শিল্পকলা বিষয়ের বিশেষজ্ঞ।

১৯৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলায় ধামতী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দেবীদ্বার হাইস্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক সম্মান ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর তৎকালীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চশিক্ষার নিমিত্তে তাকে মেধাবৃত্তি দিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান।

সেখানে ১৯৫৮ ও ১৯৬০ সালে ইতিহাস ও ইসলামিক আর্কিওলজিতে যথাক্রমে বিএ অনার্স ও পিএইচডি করেন। ১৯৬০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন এবং ১৯৭২ সালে অধ্যাপক হন।

পরবর্তীতে বিভাগীয় প্রধান, চেয়ারম্যান, কলা অনুষদের ডিন ও প্রশাসনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০০১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রফেসর ইমেরিটাস হিসাবে সম্মাননা পান তিনি। নিবিড় গবেষণার বিষয়বস্তু ইসলামী শিল্পকলা হলেও মোশারফ হোসেন তার মূলধারার বিষয় মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস থেকে সরে দাঁড়াননি। তার লিখিত গবেষণা গ্রন্থের সংখ্যা ১১টি। ১৯৭৭ সালে নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য গঠিত বোর্ডে তাদের মনোনীত সদস্য নির্বাচিত করেন। তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ও বাংলা একাডেমির সম্মানিত আজীবন ফেলো।

 

আগামীনিউজ/এসপি
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner