1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

এশিয়া মহাদেশের প্রথম মসজিদ লালমনিরহাটে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২২, ১১:৩৯ পিএম এশিয়া মহাদেশের প্রথম মসজিদ লালমনিরহাটে

লালমনিরহাটঃ প্রাচীনতার শীর্ষে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মসজিদ মনে করেন প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ। মাটি খুঁড়ে পাওয়া এই মসজিদকে হারানো মসজিদ নামেই চিনে সবাই, ইংরেজিতে যাকে বলা হয় (lost mosque)। লালমনিরহাট জেলা সদরের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় এই সুপ্রাচীন মসজিদটি অবস্থিত।

মসজিদটি নিয়ে আছে একটি ঘটনা- লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় বহুদিন ধরে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। জঙ্গলের নাম ছিল মজদের আড়া। স্থানীয় ভাষায় আড়া শব্দের মানে জঙ্গলময় স্থান। জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় প্রাচীনকালের কিছু ইট বেরিয়ে আসে।

এমনিভাবে মাটি ও ইট সরাতে গিয়ে একটি মসজিদের ভিত খুঁজে পাওয়া যায়। এখানে একটি প্রাচীন শিলালিপির পাঠ থেকে মসজিদের প্রতিষ্ঠাকাল ৬৯ হিজরি জানা যায়। স্থানীয় অধিবাসী এবং ইতোমধ্যে গঠিত ‘হারানো মসজিদ কমিটি’র সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের দাবি অনুযায়ী এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর একজন সাহাবা। যিনি এই অঞ্চল দিয়ে চীনে পাড়ি জমিয়েছিলেন।

আল জাজিরা থেকে শুরু করে দেশীয় অনেক মিডিয়া ফলোআপ করে নিউজ করে এই মসজিদ নিয়ে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত মানুষের আনাগোনা চলছে। তবে মসজিদ আগের মতই জীর্ণশীর্ণ ছিল তত্ত্বাবধায়নের অভাবে, ছিল না কোন অনুদান।

লন্ডন প্রবাসী ইমাম (তাজুল ইসলাম) এর চোখে এটি পড়লে তিনি নিজ উদ্যোগে শুরু করেন এর উন্নয়নের কাজ। পরে (আন নূর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট UK) এর উদ্যোগে শুরু হয় এটিকে আধুনিকায়ন ও উন্নত আঙ্গিকে তৈরির কাজ। মসজিদের আধুনিকায়নের পাশাপাশি শুর হয় শিশুদের উন্নত পড়াশুনার জন্য প্রি ক্যাডেট মাদ্রাসা, তবে হেফজ বিভাগ প্রথম থেকেই ছিল।

আধুনিক কমপ্লেক্স এর কাজ শুরু ২০২১ এ শুরু হয়ে এখন চলমান। এলাকাবাসীর দাবি, সরকার যদি একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিত থাহলে বাংলাদেশের নাম করা একটি পর্যটন কেন্দ্র হতে পারত এটি। কারন এর প্রাচীনতা ও গভীরতা অনেক।

তবে মসজিদ কমপ্লেক্স এর কমিটি নিয়ে আছে নানা বিরোধ, হর হামেশাই লেগে থাকে ঝগড়া বিবাদ। এটি নিরসনে কোন পদক্ষেপ নেই কারো মধ্যেই। সবাই নিজের ক্ষমতা বিস্তার করতেই ব্যাস্ত। গেল কিছুদিন আগেও শোনা যায় বিদেশি ফান্ডের টাকা আত্মসাতের কথা।

যদি এখনি এই মসজিদ কমিটি ও ব্যাবস্থাপনার দিকে সরকারি নজর দেয়া না হয়, তবে বিশাল দ্বন্দ্বের তৈরি হতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই হারানো মসজিদ হতে পারে দেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। যদি সঠিকভাবে এর উন্নয়ন কাজ চলমান থাকে। প্রয়োজন একটি সুন্দর পরিচালনা কমিটি; এমনটাই মনে করেন পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বসুনিয়া।

সকল আধার কেটে, নিজের আলোতে আলোকিত হবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এই মসজিদ। ফিরে পাবে তার হারানো রূপ, এমনটাই মনে করেন এই এলাকার জনপদ।

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner