1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ভারতের জেলখানায় বাংলাদেশীর মৃত্যু

রাজীবপুর(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি   প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২০, ০১:০১ পিএম ভারতের জেলখানায় বাংলাদেশীর মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলে বন্দি বাংলাদেশের নাগরিক বকুল মিয়া (৫৫) মারা গেছেন। বুধবার (১এপ্রিল)হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। আসামের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার তানভীর রসুলের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার ভিক্টিম রেসকিউ ফোরামের আহ্বায়ক ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকন। 

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়া গ্রামের যে ২৬ জন অধিবাসী ধুবড়ি জেলে বন্দি আছেন বকুল মিয়া তাদের একজন ছিলেন। ব্যাপারীপাড়া গ্রামের ওমর সরকারের পুত্র  তিনি। বৈধ পাসপোর্ট ও ভ্রমণ ভিসা নিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ তারিখ পর্যন্ত সময়ে বকুল মিয়াসহ একই গ্রামের ২৬ জন বাংলাদেশের বুড়িমারী এবং ভারতের চেংরাবান্ধা চেকপোস্ট দিয়ে আসাম রাজ্যের জোরহাট এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে আটকা পড়েন তারা। 

এ অবস্হায় ভারতের দ্বিতীয় দফা লকডাউনের শেষদিন ৩ মে কিছু সময়ের জন্য চেকপোস্ট খুলে দেওয়া হবে এমন খবরের ভিত্তিতে বাড়ি ফেরার জন্য জোরহাট থেকে ধুবড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তারা। কিন্তু পথিমধ্যে ধুবড়ি জেলার চাপোবৎ থানা পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর তাদের ধুবড়ি জেলহাজতে পাঠানো হয়। তখন থেকে তারা সেখানকার জেলে আছেন।

বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার ভিক্টিম রেসকিউ ফোরামের আহ্বায়ক ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ভারতজুড়ে লকডাউন থাকায় তারা আটকা পড়েন। ফলে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স আইনে ফৌজদারি মামলা করে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, গত ২৬ জুন সংশ্লিষ্ট আদালতে তাদের মুক্তির আবেদনের শুনানি হয়েছে। সেখানকার লিগ্যাল এইড কমিটি নিয়োজিত আইনজীবী রাজস্বী দাশগুপ্ত এবং কোলকাতার বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ নিয়োজিত আইনজীবীসহ কয়েকজন আইনজীবী তাদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। আগামী ৬ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য আছে। এসএম আব্রাহাম লিংকন আরও জানান, বকুল মিয়ার মরদেহ দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

আগামীনিউজ/রুহুল/জেএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner