1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

বেতাগীতে ১০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত

উপজেলা প্রতিনিধি, বেতাগী (বরগুনা) প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৩, ০৩:৩৩ পিএম বেতাগীতে ১০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত

বরগুনাঃ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগেই বরগুনার বেতাগী উপজেলার ১০টি গ্রামে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর পালিত হচ্ছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৮টায় উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মো. রমজান আলী।

ইমাম মো. রমজান আলী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদুল ফিতর পালন করছি। এজন্য আমরা রোজাও রেখেছিলাল ১দিন আগে। শুক্রবার সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আমি ঈদের নামাজ পড়াই। নামাজে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলি করেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় শতবর্ষ আগে থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খন্তাকটা, লক্ষীপুরা, গ্রেদ লক্ষীপুরা, কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কাজিরাবাদ, বকুলতলী, বুড়ামজুমদারের কাজির হাঁট গ্রাম ও হোসনবাদ এলাকার একটি অংশের প্রায় ১০ গ্রামের চিশতিয়া কাদেরীয়া সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার অনুসারীরা অগ্রিম রোজা ও অগ্রিম ঈদ পালন করে আসছেন। প্রথম দিকে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও প্রতিবছরই এ সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গেছে।

কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, প্রায় ১০০ বছর ধরে তাঁরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগে রোজা ও ঈদ উদযাপন করছেন। বাংলাদেশের সাতকানিয়া থানার মির্জাখিল দরবার শরিফের নির্দেশে তারা এইভাবে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন।

সদর ইউনিয়নের খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা আলী আহম্মদ আকন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন করে আসছি। তাই এখনো সেই নিয়মই পালন করছি।’

বেতাগী উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব ও ইমাম প্রভাষক আব্দুল হাই নেছারি বলেন, ‘এখানে কিছু মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন। এটি তাদের দীর্ঘদিনের রীতি। তবে এটা শরিয়তসম্মত নয়। কারণ, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময় ব্যবধান ৩ ঘণ্টা। যদি সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা এবং ঈদের নামাজ আদায় করতে হয় তাহলে তারা কেন অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান সৌদির সঙ্গে মিল রেখে করেন না।’

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী আফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, এ উপজেলের কয়েকটি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবছরই অগ্রিম রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই তারা রোজা ও দুই ঈদ পালন করছেন।

বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে এ উপজেলা কয়েকটি গ্রামে ঈদ-উল ফিতর পালন ও মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে সেখানে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পুলিশ সর্তক রয়েছে।

সাইদুল ইসলাম মন্টু/বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner