1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

দাদার পরে নাতিরও ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে, কনে আসলো পালকিতে

জেলা প্রতিনিধি,রাজশাহী প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩, ১০:৩৯ পিএম দাদার পরে নাতিরও ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে, কনে আসলো পালকিতে

রাজশাহীঃ এ যেন এক রূপকথার বিয়ের গল্প। ছোট বেলায় ঘোড়ার গাড়ি আর পালকি নিয়ে বিয়ে করতে যাওয়ার গল্প জানা অনেকেরই। তবে সেই ঘটনা শুধুই গল্প নয় নিজের ইচ্ছেরও পূরণ করলেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার যুবক মতিউর রহমান হালিম। 

শনিবার (১৮ মার্চ) রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় বিয়ে হয় তার। তবে বিয়ের আয়োজন ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। 

রূপকথার গল্পের মতো ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন তিনি। আর বিয়ের পরে কনে আসলেন পালকিতে। এছাড়াও কনে বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে এমপি আসলেন হেলিকপ্টারে চড়ে। এক বিয়ে বাড়িতে ঘোড়া, পালকি আর হেলিকপ্টার যেন হার মানায় সেই গল্পকেও। 

জানা যায়, বাবা-মার একমাত্র ছেলে মতিউর রহমান বাগমারা উপজেলার ভরট্ট গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা আবদুল মান্নান পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক ও মা হালিমা খাতুন স্বাস্থ্য কর্মী। 

আর কনে ফারহানা আঁখি সোনাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহারুল হকের একমাত্র মেয়ে। চীন থেকে পড়াশোনা করে আসা মতিউরের সঙ্গে পারিবারিকভাবেই বিয়ের আয়োজন হয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী আঁখির। 

মতিউরের ইচ্ছা অনুযায়ী, একটা ঘোড়া ভাড়া করে আনা হয়। আর গ্রামের প্রবীণ একজন মিস্ত্রিকে দিয়ে তিন দিনে তৈরি করা হয় একটি পালকি। বেলা ১১টার দিকে ঘোড়ায় চড়ে এক কিলোমিটার দূরে বিয়ে করতে যান মতিউর। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পালকিতে করে নববধূকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তারা। 

আর বিয়েতে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। গাড়ি নয়, হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে উড়ে আসেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে আবার হেলিকপ্টারেই ফিরে যান তিনি। স্থানীয় ফুটবল মাঠে হেলিকপ্টার নামায় আনন্দের কমতি ছিল না স্থানীয়দের। গ্রামে প্রথমবার হেলিকপ্টারের দেখতে ছুটে আসেন অনেকেই। 

কনের বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল হক জানান, মেয়ের বিয়েতে স্থানীয় এমপি এনামুল হকসহ প্রায় তিন হাজার মানুষকে দাওয়াত করেছিলেন তিনি। তারা সবাই এসেছিলেন। বর ঘোড়ায় এসে পালকিতে করে কনে নিয়ে গেছে। আর এমপি এসেছিলেন হেলিকপ্টারে। এই বিষয়গুলো গ্রামবাসীর ভালো লেগেছে। সবার কাছে বিয়েটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। 

পাত্র মতিউরের চাচা মামনুর রশিদ বলেন, ছেলের দাদা আহম্মদ হোসেন ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করেছিলেন। তিনিও নববধূকে বাড়ি এনেছিলেন পালকিতে করে। সেই গল্প শুনে বড় হওয়া মতিউরও চেয়েছিলেন একইভাবে বিয়ে করতে। তার ইচ্ছা পূরণ করা হয়েছে। গ্রামবাসীকে চমকে দিতে অনেকটা গোপনে গোপনেই এ আয়োজন করা হয়েছিল। গ্রামের মানুষ চমকে গেছে।

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner