1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

তথ্য প্রযুক্তি হতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন হাতিয়ার

অর্পন গোস্বামী প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ১১:১৯ এএম তথ্য প্রযুক্তি হতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন হাতিয়ার

ঢাকাঃ বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমাগত কৃষি থেকে উৎপাদনমুখী শিল্পে পরিবর্তনশীল হচ্ছে । বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় একটি অংশ হচ্ছে রেমিট্যান্স ও তৈরি পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের অর্থনীতি হচ্ছে নিম্ন-মধ্য আয়ের উন্নয়নশীল এবং স্থিতিশীল বাজার। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন লেবার হতে পারে অন্যতম হাতিয়ার।

রপ্তানির ক্ষেত্রে, আরএমজি বা তৈরী পোশাক খাত বাংলাদেশের সমস্ত রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩ শতাংশ অবদান রাখে। এই পরিসংখ্যান বছরের পর বছর পরিবর্তিত হতে থাকে কিন্তু এখন বেশ কয়েক বছর ধরে ৮০ এর দশকে রয়েছে। জানুয়ারি-মার্চ ২০২২ অর্থবছরে তৈরি পোশাক থেকে মোট রপ্তানি আয় ১১৫২৭.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এ দাঁড়িয়েছে। যা আগের ত্রৈমাসিক এবং একই ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৬.৩৩ এবং ৪৫.১৪ শতাংশ বেশি। সামগ্রিক জিডিপিতে আরএমজি বা  তৈরী পোশাক খাতের অবদান প্রায় ১১-১২ শতাংশ।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আরএমজি বা তৈরী পোশাক খাতের পরেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে  রেমিটেন্স খাত। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি তে যার অবদান ছিল ৬.০৩ শতাংশ। কিন্তু, সম্প্রতি হুন্ডি প্রথা বেপক জনপ্রিয় হওয়ার ফলে রেমিটেন্স খাত অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে।

একটি দেশের অর্থনীতি সচল থাকার অন্যতম উপাদান হচ্ছে খনিজ সম্পদ। যেহেতু, বাংলাদেশ আয়তনে অনেক ছোট দেশ এবং আমাদের খনিজ সম্পদের পরিমান অনেক কম। সেক্ষেত্রে টেকনোলজি বা আইটি খাত সুফল বয়ে আনতে সক্ষম। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মাল্টিডিসিপ্লিনারি রিসার্চ এবং টিচিং ডিপার্টমেন্ট অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের (ওআইআই) এর তথ্য মতে, অনলাইনে শ্রমিক সরবরাহের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পছন্দের দেশ। খরচ এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলির অনেক বড় কর্পোরেশন বাংলাদেশ সহ ৩য় বিশ্বের দেশগুলি থেকে আইটি আউটসোর্সিংয়ের দিকে ঝুঁকছে, যার ফলে ফ্রিল্যান্সিং-এর সাম্প্রতিক বিকাশ ঘটেছে।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ট্যাক্স প্রস্তুতি, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান সহ সবকিছুই এরমধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এটি উদীয়মান বাজারের লোকেদের জন্য বিস্তৃত নতুন সুযোগ তৈরি করেছে যা আগে বিদ্যমান ছিল না। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট (ও আই আই ) এর তথ্যমতে, প্রায় ৫,০০,০০০ সক্রিয় এবং ৬,৫০,০০০ নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সাররা নিয়মিত কাজ করছেন। বাংলাদেশ আইসিটি বিভাগের তথ্যমতে, দেশ তাদের থেকে বার্ষিক $১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে।

ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানিজাশন (ইলো) ২০২২ এর তথ্য সূত্রমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৩.৬ মিলিয়ন যা মোট জনসংখ্যার ৫.৩০%। কোভিট-১৯ এর ফলে দেশে শিক্ষিত বেকারত্বের হার ক্রমেই বাড়ছে। এই তরুণ বেকাররা সহজেই কিছু আইটি প্রশিক্ষণ নিয়ে এবং অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে। এতে করে, তারা কেবল জীবিকা নির্বাহ করে না বরং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রায় বেতন উপার্জন করে অর্থনীতিতে বেপক অবদান রাখতে পারে।

লেখকঃ অর্পন গোস্বামী। 
শিক্ষার্থী, ইএমবিএ, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner