1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

নানা সমস্যায় জর্জড়িত ৪০ পীরের মাজার(ভিডিও)

শামীম সরদার, সাদুল্লাপুর(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২১, ০৩:৩৩ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

গাইবান্ধাঃ জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের তিলকপাড়া গ্রামে অবস্থিত ‘পীরেরহাট’ নামক ঐতিহ্যবাহী স্থান। কিংবদন্তী আছে এখানে ৪০ জন পীরের মাজার রয়েছে। আরো রয়েছে একটি কেরামতি পুকুর। দৃশ্যমান পুকুর ও মাজারের নেই কোন প্রাচীর। শুধু প্রাচীরই নয়, পবিত্র এই স্থানটি এখন নানা সমস্যায় জর্জড়িত হয়ে পড়েছে।    

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন পীর-দরবেশ-আউলিয়ারা এখানে একত্রিত হয়ে বৈঠক করতো বলে এ স্থানের নাম হয়েছে পীরেরহাট। এখানে রয়েছে ৪০ পীরের মাজার। এর মধ্যে ৩ টি মাজার দৃশ্যমান থাকলেও বাকিগুলো বাতুনি রয়েছে। এসব মাজার ও পুকুরটি কত বছর আগে স্থাপিত হয়েছে, তার কোন সঠিক দিন-তারিখ খুঁজে পায়নি কেউ। এখানে মাজারের নামীয় ৯৪ শতক ও পুকুরের নামীয় ১ একর ২০ শতক জমি রয়েছে। এতে দরগা শরীফসহ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আরো একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা। এর সংলগ্ন রয়েছে মসজিদ,  প্রাথমিক বিদ্যালয়,  ঈদগাহ মাঠ, কয়েকটি শতবর্ষী বট গাছ।

বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ তাদের মনের বাসনা পুরনে এসব মাজারে গরু-ছাগল পোলাও, নগদ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র মান্নত করে চলছেন। আর রোগ নিরাময়ের ঔষধ হিসাবে যুগযুগ ধরে কেরামতি ওই পুকুরের পানি পান করে আসছেন অনেকে। এ পুকরের পানির রং ঘোলা হলেও কেউ তা ঘৃণার চোখে দেখছেন না। প্রত্যেক দিন ছাড়াও সপ্তাহের শুক্রবারে মান্নতের জিনিসপত্র গুলো নিয়ে আসেন এই পীরেরহাটে। সেই সঙ্গে বছরে বৈশাখের প্রথম শনিবার একদিনের জন্য এইস্থানে বান্নির মেলা বসে। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে এই মেলায়। এছাড়াও বছর শেষে মহররম মাসের ১০ তারিখে ওরস অনুষ্ঠিত হয়। ওই ওরসে শতশত ধর্মপ্রাণ মানুষের আগমন ঘটে।

এদিকে, পবিত্র ঐতিহ্যবাহী  পীরেরহাট মাজার শরীফ উন্নয়নের জন্য কেউ সু-নজরে তাকায়নি। সম্প্রতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন এই পীরেরহাট মাজার এলাকার উন্নয়নের জন্য কিছু অর্থ ব্যয় করে পুকুর পাড়ে ২টি  ঘাট, ঈদগাহ মাঠের মাটি ভরাটসহ নতুন করে সংস্কার, হুজরা খানার ঘর সংস্কার এবং মাজার চত্তরে দানবাক্স ও এতিম খানা স্থাপন করেছে। এতে কিছুটা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এখনো বাকি রয়েছে মাজার ও পুকুরের প্রাচীরসহ আরো অন্যান্য কাজ।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি ও মাজার সংলগ্ন মসজিদের মুয়াজ্বিন আব্দুল জলিল মিয়া জানান, পীরেরহাটে প্রবেশদ্বারের রাস্তাটি কাঁচা হওয়া বর্ষা মৌসুমে হাঁটু কাঁদায় পরিনত হয়। আর ধর্মপ্রাণ মানুষদের জন্য নেই কোন ছাউনি ঘর। এতে দুর্ভোগে পড়েন মাজারে আসা মানুষগুলো।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner