1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

মহাসড়কে টোল: কার লাভ কার ক্ষতি?

প্রভাত আহমেদ প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১, ০৫:৪১ পিএম মহাসড়কে টোল:  কার লাভ কার ক্ষতি?
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ সরকার একটি গরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছে, দেশের মহাসড়কগুলোতে টোল আদায়। জাতীয় মহাসড়ক ব্যবহার করলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও টোল দিতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর পাশাপাশি জাতীয় মহাসড়ক থেকে টোল আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশে সড়কপথে চলতে কিছু সেতুতে টোল দিতে হয়। সেতু বানাতে অনেক খরচ, টোল আদায়ের মাধ্যমে তা তোলার চেষ্টা করা হয়। সেতুর কারণে সময় বাঁচে, ঝক্কিঝামেলা থেকেও মুক্তি মেলে। টোল দিলেও সে কারণে গায়ে লাগে না। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর আগে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ কতটা কঠিন ছিল, তা ভুক্তভোগীরা জানে। মেঘনা ও দাউদকান্দি সেতুর ফল ভোগ করছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর মানুষ। এসব বড় সেতু ছাড়াও আরও অনেক সেতু রয়েছে, যেগুলোতে টোল দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। পদ্মা সেতু প্রায় হয়ে গেছে, যার সুফল দক্ষিণবঙ্গের মানুষ পাবে। সেই সেতুতেও টোল দিয়ে চলতে হবে। এখন পদ্মা পার হওয়ার যে দুর্ভোগ, তা সেতু তৈরির পর টোল দিলেও পুষিয়ে যাবে। মোটকথা, সেতু বানিয়ে সরকার জনগণকে যে সার্ভিস বা সেবা দিচ্ছে, তার বিনিময়ে টোল আদায় করছে। একে অন্যায্য বলা যাবে না। 

সরকার এখন সড়ক পরিবহনে এই টোলের আওতা আরও বাড়াতে চাইছে। সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে, দেশের কিছু নির্দিষ্ট মহাসড়ক থেকে টোল আদায় করা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা যদি বিশ্বের অন্যান্য দেশেগুলোর দিকে লক্ষ করি বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ ইউরোপের দেশ গুলোতে তাহলে দেখবো, সে দেশের মহাসড়কে যানবাহন চললে টোল দিতে হয় সরকারি কোষাগারে, তার কারণ মহাসড়কগুলো ব্যাপক ব্যয়বহুল। আমাদেল দেশেও এই রীতি চালু করলে ভবিষ্যতে আমাদের দেশের মহাসড়কগুলোও আরও উন্নত হবে বলে বিশিষ্টজনেরা মনে করেন।

আর এই টোল আদায়ে সরকার লাভবান হবে না, লাভবান হবে বাংলাদেশ। মহাসড়কে তো আর গবির মেহনতী সাধারণ মানুষের গাড়ি চলে না, চলে ধনীদের গাড়ি, কাজেই ধনীদের জন্য মহাসড়ক তৈরী হবে টোলও তারা দিবে, এটাই তো নিয়ম।

উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশেও বড় বড় মহাসড়ক যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা রংপুর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ এসব মহাসড়কে টোলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। কেবল তা-ই নয়, টোলের মাধ্যমে আদায় করা টাকার জন্য একটি আলাদা ব্যাংক হিসাব করতে হবে। সেই টাকা দিয়ে মহাসড়কগুলো সংস্কার করা যাবে।

দেশের ২১টি মহাসড়কে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে কেউ যাতে টেম্পারিং করতে না পারে। এটা সময়ের দাবি। কিন্তু এমন পদ্ধতি বের করতে হবে, যাতে যাত্রী থাকুক আর না-থাকুক এর ওপর দিয়ে গাড়ি গেলেই যেন গাড়ির নাম, নম্বর, ওজনসহ বিস্তারিত তথ্য উঠে যায়।

আসলে এসব তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো একটি জায়গা থেকে মনিটরিং করতে হবে। এই কাজগুলো যেন স্বয়ংক্রিয় হয়। এ ছাড়া ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানগুলো যাতে নির্দিষ্ট মাপের তুলনায় বেশি না হয়। সব যানবাহনের মাপ একটি নির্দিষ্ট স্টান্ডার্ডে হতে হবে।

দেশের চার-লেনের মহাসড়কগুলোতে টোল আদায়ে কী ধরনের অবকাঠামোর প্রয়োজন হবে তা নিরূপণে জরিপ শুরু করতে শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।
টোল আদায় সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রথম ধাপে ঢাকা-চাট্টগ্রাম এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এই জরিপ চালানো হচ্ছে।

টোল নীতি-২০১৪ এর আওতায় সওজ বর্তমানে ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ হাটিকুমরুল-বনপাড়া, ১৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ চাট্টগ্রাম বন্দর এক্সেস সড়ক এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জগদীশপুর থেকে শেরপুর পর্যন্ত ৭৪ কিলোমিটার সড়কে টোল আদায় করছে।

২০১৪ সালের এই নীতিমালায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে প্রতি কিলোমিটারের ভিত্তি টোল দুই টাকা, জাতীয় মহাসড়কে দেড় টাকা, আঞ্চলিক মহাসড়কে এক টাকা এবং জেলা সড়কগুলোতে ৫০ পয়সা টোল ধার্য করা হয়েছে।
জাতীয়, আঞ্চলিক, জেলা পর্যায় মিলিয়ে মোট ২২ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে সওজের। এরমধ্যে ঢকা-চাট্টগ্রাম এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনের। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের চার লেনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পারভীন সুলতানা আগামী নিউজকে জানান, তারা প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টোল আদায়ের পরিকল্পনা করছেন। অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ ধরনের বড় জরিপ পরিচালনার জন্য আমাদের পরামর্শদাতার প্রয়োজন হতে পারে। আমরা অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করব।”

সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডরসহ ৯ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৮৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ছয় হাজার ৫৯৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে বিটিসিএলের ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প। পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ প্রকল্প। সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। বাংলাদেশ বেতার, সিলেট কেন্দ্র আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল সম্প্রচার যন্ত্রপাতি স্থাপন প্রকল্প। পশ্চিম গোপালগঞ্জ সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প। চট্টগ্রাম জেলাধীন হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় হালদা নদীর উভয় তীরের ভাঙন থেকে বিভিন্ন এলাকায় তীর সংরক্ষণ কাজ প্রকল্প। ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলাধীন দৌলতখান পৌরসভা ও চকিঘাট এবং অন্যান্য অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মেঘনা নদীর ভাঙন রক্ষা প্রকল্প। কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প। অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন প্রকল্প।

আগামীনিউজ/প্রভাত

 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner