1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

শ্রদ্ধার ফুলে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২২, ০৯:২৮ এএম শ্রদ্ধার ফুলে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

ঢাকাঃ শীতের মাস পৌষের প্রথম সকাল। চারিদিকে কুয়াশায় ঢাকা। সেই কুয়াশা ভেদ করে উদিত হয়েছে নতুন সূর্য। বিজয় দিবসের রক্তিম সেই সূর্যোদয়ের আগেই হাজারো মানুষের সমাগম হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায়। বিজয়ের ৫২তম বছর উদযাপন উপলক্ষে শীতকে উপেক্ষা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন অগনতি মানুষ। ফুল হাতে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন তারা। হাজারো মানুষের আনা শ্রদ্ধার ফুলে মুহূর্তের মধ্যেই ভরে উঠেছে পুরো স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদি।

সকাল ৭টার পর সর্বসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ এলাকা উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরেই সকল শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মানুষের ভিড় লেগে যায় ঢাকার অদূরে সাভারে স্থাপিত স্মৃতিসৌধ এলাকায়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান।

এ সময় এক মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে নীরবতা পালন করেন দুজন। বেজে ওঠে বিউগলের করুণ সুর। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার দেয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল।

এরপর জাতির সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি। স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় তার পাশে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান মাহমুদসহ আরও অনেকে।

ভিআইপিদের যাতায়াতের কারণে ফজরের আগ থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সকাল পৌনে ৭টায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করলে মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়া হয় এবং সকলের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব বয়সী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে প্রবেশ করেন স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।

রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, সমাজকর্মী, সরকারি-বেসরকারি চাকুরে, শিল্পী-বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবী, শ্রমিক, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত শ্রদ্ধার পুষ্পাঞ্জলিতে ঢেকে যায় সৌধের শহীদ বেদি।

অনেককে দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে নিজেদের কণ্ঠ মেলাতে দেখা গেছে। শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে তাদের হাতে ছিল নানা রঙয়ের, বর্ণের ফুল। আবার অনেকেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নীরবতা পালন করেছেন। সময় যত গড়াচ্ছে, মানুষের ভিড় ততই বাড়ছে।

বন্ধুদের সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাতে আসা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরিদুর রেজা খান বলেন, ‘প্রতি বছরই এ দিনটিতে ফুল নিয়ে স্মৃতিসৌধে আসি মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে। তাদের আত্মত্যাগেই আমরা অর্জন করেছি একটি স্বাধীন দেশ।’

বিজয়ের দিনে কেমন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেন, জানতে চাইলে ফরিদুর রেজা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশই আমার একমাত্র চাওয়া। আত্মমর্যাদাশীল যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমিও তাই দেখি। পাশাপাশি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে পণ করি নিজেকে তাদের আদর্শে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে।’

বিজয়ের ৫২তম বছরে বাংলাদেশের কাছে কী প্রত্যাশা, জানতে চাইলে ধামরাইয়ের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শাহ মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘৫১ বছরে অর্থনীতি ও সামগ্রিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, কিন্তু এখনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেশ থেকে শ্রেণি বৈষম্য এবং দুর্নীতি পুরোপুরিভাবে দূর হয়নি। বঙ্গবন্ধুর এ দেশে প্রান্তিক মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে এটাই আমার এবারের বিজয় দিবসে বাংলাদেশের কাছে কামনা।’

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner