
অবহেলিত নারীর কথা
লিখছি কবিতায়,
বিষাদে ভরা দিনগুলো
আজো স্মৃতির পাতায়।
বাস্তবে শোনা কথাগুলো
এখনো যন্ত্রণাময়,
বলতে পারো এখনো কেন
নারী অবহেলিত হয়।
মুখেই বলো নারী- পুরুষ
সমান সমান ভাগ,
সমাজকে আজ ধিক জানাই
চোখে -মুখে জমেছে রাগ।
বাবা-মায়ের আদুরে মেয়ে
পরের ঘরে যাবে,
বিয়ে দিয়ে সেই মেয়েকে
দায়মুক্ত হবে।
বরের ঘরের বৌ হলো
বাবা-মা হলো পর,
কাজের ফর্দ ধরিয়ে দিলো
শেষ হলো মধুর বাসর?
গাঁয়ের লোকের কথা শুনে
হয়েছি হতবাক,
বৌ নাকি কাজের মেয়ে
কোথায় আল্লাহপাক?
কুসংস্কারে জর্জরিত
গ্রাম্য পরিবারে,
গাঁদার মতো খেটে যাচ্ছে
কষ্ট বোঝায় কারে।
অবুঝ নারী এমনিকরেই
অবহেলিত হয়,
কষ্ট স্বীকার করেও
আপন কেউ নয়।
নিজের বলতে নেই ঠিকানা
অকুল দড়িয়ার মাঝি,
প্রতিবাদী কণ্ঠে বলছি
এই সমাজ বড্ড পাঁজি।
হিন্দু, মুসলিম সব নারীদের
ভিটের ভাগ দাও,
নারীর প্রতি অবহেলা
সময় থাকতে তুলে নাও।
দেশের উন্নয়নে বিঘ্ন ঘটবে
নারী অবহেলিত হলে,
বাংলার আকাশ নিস্তব্ধ হবে
আমি দিলাম বলে।