1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

আড়াই টাকার জন্য চাকরিচ্যুত, তিন যুগ পর বেতন-ভাতা দিতে রায়

আদালত ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২১, ০৪:২০ পিএম আড়াই টাকার জন্য চাকরিচ্যুত, তিন যুগ পর বেতন-ভাতা দিতে রায়

ঢাকাঃ মাত্র আড়াই টাকা অনিয়মের অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক আদালতে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওবায়দুল আলম আকনের। জেল-জরিমানাও হয়েছিল সে সময়ের এই পাট সম্প্রসারণ সহকারীর। অবশেষে তিন যুগ পর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রিভিউ রায়ে আকন ফিরে পাচ্ছেন তার হারানো চাকরির সব বেতন-ভাতা। আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ রায় দেয়।

জানা গেছে, মাত্র আড়াই টাকা বেশি দামে সরকারি পাট বীজ বিক্রির অভিযোগে ১৯৮২ সালের ১৫ এপ্রিল পাট সম্প্রসারণ সহকারি মো. ওবায়দুল আলম আকনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর এরশাদের সামরিক আদালত আকনকে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি দুই মাস জেল ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। এর প্রায় ৩০ বছর পর সামরিক আদালতের সেই সাজা ও চাকুরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে হাই কোর্টে রিট করেন ওবায়দুল আলম আকন। সে রিটে চাকুরিচ্যুতি থেকে অবসরে যাওয়ার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সকল সুযোগ-সুবিধাসহ সমুদয় বেতন-ভাতা পেতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর হাই কোর্ট ওবায়দুল আলমের সাজা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। এই রায়ে তার চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ পর্যন্ত সকল বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় পাওনা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।

তবে হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর আপিল করে। এই আপিলের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ রায় দেন আপিল বিভাগ। সে রায়ে ওবায়দুল আলম আকনের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত হাই কোর্টের রায়ের অংশ বহাল রেখে সামরিক আদালতের সাজা অবৈধ ঘোষণা সংক্রান্ত অংশটি (এক্সপাঞ্জ) বাদ দেওয়া হয়। তবে এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। সে আবেদন খারিজ করে আজ সোমবার রায় দেয় আপিল বিভাগ।

আদালতে ওবায়দুল আলম আকনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে মোর্শেদ।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner