1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

আধুনিক চাষে সুদিন ফিরছে যমুনার চরে

জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ১০:৫০ এএম আধুনিক চাষে সুদিন ফিরছে যমুনার চরে

সিরাজগঞ্জঃ যমুনা চরের পলিমাটিতে আধুনিক পদ্ধতির চাষাবাদে কৃষকের জীবনমানের পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে পরিবারগুলোতে ফিরেছে সচ্ছলতা। অথচ কয়েক বছর আগেও সীমাহীন কষ্টে ফসল ফলাতেন ওই এলাকার কৃষকরা।

সরেজমিনে চরবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিবর্তনের বিস্তর চিত্র। যমুনা নদী দ্বারা বেষ্টিত জেলার কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালি শাহজাদপুর ও সদর উপজেলার বিশাল বিশাল চরাঞ্চল। যমুনার করাল গ্রাসে প্রতি বছরই সর্বস্বান্ত হয়ে এক চর থেকে অন্য চরে আশ্রয় নেয়। সেখানে প্রতিনিয়ত যমুনার সঙ্গে লড়াই করে চলে তাদের জীবন-জীবিকা। চরের সিংহভাগ মানুষই নিম্নবিত্ত, যারা কৃষিতেই নির্ভরশীল। চরের যেদিকেই চোখ যায় নানা ফসলের আবাদ চোখে পড়ে। এখন সিরাজগঞ্জের যমুনা চরে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে বাদাম, ভুট্টা, মরিচ, পাট, বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি সবজি ও উচ্চফলনশীল ধানসহ অনেক ধরনের ফসল। এখানে উৎপাদিত, নানা ফসল যাচ্ছে সারা দেশে।

স্থানীয় চরবাসীরা জানান, আগে এই সব চরে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, উচ্চ পরিবহন খরচ ও সঠিক উপায়ে চাষাবাদের পদ্ধতি না জানায় অধিক শ্রমেও পাওয়া যেত না কাঙ্ক্ষিত ফসলের ফলন। গত কয়েক বছরে বদলে যেতে শুরু করে সেই চিত্র। চরবাসীরা শিখেছেন আধুনিক চাষাবাদ। আর এ ক্ষেত্রে চরের কৃষক-কৃষাণীদের স্থানীয় কৃষি বিভাগ দিচ্ছে নানা পরামর্শ।

শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদী বেষ্ঠিত সোনাতনী ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের কৃষক আহাদ আলী বলেন, নদী ভাঙনে নানা চরে ঘুরতে ঘুরতে শেষে এই চরে বাঁধলাম ঘর। তখন বালু ছাড়া এখানে কিছুই ছিল না। এরপর অল্প অল্প করে শুরু হয় আমন ধানের চাষ। সেইসঙ্গে চাষ করি নানা ধরনের সবজি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ শুরু করে আমরা চরবাসীরা এখন স্বাবলম্বী হয়েছি। ইতিমধ্যেই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার স্কোয়াশ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।

সদর উপজেলার মেছড়া চরের কৃষক জাহাঙ্গীর বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলেছে চরের কৃষি। এখন চরে বাদাম, ভুট্টা, মরিচ, সবজি ও উচ্চফলনশীল ধান চাষ করে ঘুরে গেছে ভাগ্যের চাকা। সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতা। ন্যায্য দামও পাচ্ছি। তিনি বলেন, আগে এক বিঘা জমিতে ভুট্টা ফলত ২০-২৫ মণ, এখন উন্নত জাতের বীজের ফলে ফলন পাচ্ছি ৪০-৪৫ মণ। চরে পুরুষের পাশাপাশি কৃষিতে হাল ধরেছেন নারীরা।

জানা গেছে, চরের পুরুষের পাশাপাশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নারীরাও কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। শাহিদা বেগম নামে একজন বলেন, নিজের এক বিঘা জমির চাষাবাদে বীজ লাগানো, সার, পানি ও কীটনাশক দেওয়া, ফসল কাটা পর্যন্ত প্রতিটি কাজ নিজের হাতে করেছি। আরেক নারী রোকেয়া বলেন, আমার স্বামী মুদি দোকানি। কৃষিকাজের পাশাপাশি তিনি গবাদিপশু পালন করেন। এতে প্রতি বছর রোজা ও কোরবানিতে অন্তত ৪-৫টি ষাড় বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা—এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। তার নির্দেশ মোতাবেক চরের অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। চরগুলোতে এখন ভুট্টা, বাদাম, দেশি-বিদেশি সবজি, ধান, পাটসহ নানা ধরনের ফসলের চাষ হচ্ছে। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে তাদের আয় বেড়েছে। ফলে তাদের ভাগ্যেরও পরিবর্তন ঘটেছে।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner