1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

কমলা চাষে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন ইউসুফ আলীর

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২২, ০১:০৩ এএম কমলা চাষে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন ইউসুফ আলীর

যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন যাদবপুর গ্রামে চায়না কমলাবাগান করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন চাষি ইউসূফ আলী। তিন বিঘা জমির বাগানের প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় কমলা ধরেছে। কমলা দেখতে আকারে যেমন বড়, তেমন স্বাদেও খুব মিষ্টি। প্রতিদিন এই কমলার বাগান দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকার চাষিরা। ভালো ফলন দেখে উৎসাহী হয়ে অনেকেই কমলা চাষের উদ্যোগ নিচ্ছেন।

বাগান ঘুরে দেখা গেছে, হলুদ রঙে থোকায় থোকায় কমলা লেবুতে ছেয়ে গেছে পুরো বাগান। যা দেখে যে কারোরই মন ভরে উঠবে। আর কমলা বাগান দেখতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে দর্শনার্থীরা।

মহেশপুর থেকে বাগান দেখতে আসা মিনানুর হোসেন জানান, দেশের আবহাওয়া অনুকূল না হওয়ায় সাধারণত চায়না কমলার ফলন ভালো হয় না। কিন্তু আমাদের সে ধারণা পাল্টে দিয়েছে নাভারণের যাদবপুরের ইউসূফ আলী। বাগানে প্রতিটি গাছে কমলার ফলন দেখে আমরা অভিভূত হয়েছি।

গদখালী থেকে আসা আলী হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে এত সুন্দর মিষ্টি ও সুস্বাদু কমলা হতে পারে ধারণা ছিলো না। ইউসূফের বাগানে না আসলে এটা বুঝতে ও জানতে পারতাম না । এখানে এসে গাছে ফল দেখে খুবই ভালো লাগছে।

চায়না কমলা চাষি ইউসূফ আলী বলেন, দুই বছর আগে ২০২০ সালের প্রথম দিকে তিন বিঘা জমিতে ৩৫০টি কমলা লেবুর চারা দিয়ে বাগান গড়ে তুলি। বাগানে কাজ করছে ১০-১৫ জন শ্রমিক। ভালো পরিচর্যার কারণে ফলনও ভালো হয়েছে। চলতি বছর মাত্র দুই বছরে প্রতি গাছে প্রায় ৪০-৫০ কেজি ফলনের আশা দেখছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত চায়না কমলা বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে বছরে দুই থেকে তিন লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তাই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে দেশের বাইরে না গিয়ে তরুণ, বেকার এবং শিক্ষিত যুবকদের চায়না কমলার বাগান করার পরামর্শ দেন তিনি।

কৃষি বিভাগের প্রতি অভিযোগ করে চায়না কমলা চাষি ইউসূফ আলী বলেন, এ পর্যন্ত কৃষি অফিসের কেউই আসেনি আমার বাগানে। তাদের কাছ থেকে পরামর্শ কিংবা সহযোগিতা পায়নি। কৃষি বিভাগ যদি এই কমলা চাষের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সহযোগিতা দেয় তাহলে মানুষের মধ্যে চায়না কমলা লেবুর চাষের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভাবে কমলা লেবুর উৎপাদন বাড়বে। এ অঞ্চলের উৎপাদিত লেবু বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করাও সম্ভব হবে।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল বলেন, ইউসূফের তিন বিঘা জমিতেই ব্যাপক ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। আগামীতে উপজেলার চাষিদের আরো চায়না কমলা লেবু চাষে আগ্রহী বাড়াতে অন্যদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। কৃষকরা কমলা চাষে এগিয়ে এলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। কারণ, চায়না লেবুর বাজারে চাহিদা থাকার ফলে দামও ভালো পাওয়া যায়।

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner