1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ধু ধু বালুচরে সবুজের সমারোহ

জিকরুল হক, উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২১, ০৯:০২ এএম ধু ধু বালুচরে সবুজের সমারোহ
ছবি: সংগৃহীত

রংপুরঃ তিস্তার বালুচর এখন মানুষের স্বপ্ন বোনে, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার বুকে জেগে উঠেছে বালু ও দোআঁশ মাটির ২৯টি চর। ওই জেগে ওঠা ধু ধু বালুচরে নানান জাতের চাষাবাদ করছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। পুরো চরেই এখন বিভিন্ন ফসলের সবুজের হাতছানি। এ যেন সাদা সোনায় সবুজের উঁকি।

সরেজমিনে উপজেলার তালুতশাহবাজ, চরগনাই চরসহ বিভিন্ন চর ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি চরে চলছে বিভিন্ন ফসলের চাষ। কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চরে কাজ করছে কৃষক-কৃষাণী। তাদের স্বপ্ন পূরণে তিস্তা চরের বালু মাটি যেন সাদা সোনায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ও নদীভিত্তিক জীবন নির্বাহকারীরা চরাঞ্চলের পলি ও দোআঁশ মাটিতে চাষাবাদ করে অর্থনৈতিক আলোর মুখ দেখছে। আমন মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বর্তমানে তিস্তা পারের বাসিন্দারা। সাদা সোনার চর এখন তাদের প্রাণে নতুন করে স্পন্দন ফিরিয়ে দিয়েছে।

উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গোপিডাঙ্গা, তালুকশাহবাজ, ঢুসমারা, গদাই চর, পাঞ্জরভাঙ্গা, টেপামধুপুর ইউনিয়নের হরিচরনশর্মা, বিশ্বনাথ, গনাই, হযরতখাঁ, আজমখাঁ, শহীদবাগ ইউনিয়নের প্রাণনাথ, হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ চরসহ বিভিন্ন চরে গিয়ে দেখা গেছে, খরস্রোতা তিস্তার জেগে ওঠা ধু ধু বালুচরে শুধুই সবুজের সমারোহ। চরের পলি ও দোআঁশ মাটিতে চাষ হচ্ছে আলু, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, মিষ্টি কুমড়াসহ নানান জাতের ফসল। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসল পরিচর্যায়।

তালুকশাহবাজ চরের খেতে পরিচর্যা করা কৃষক স্বাধীন ও ইলিয়াস আলী জানান, চরে মিষ্টি কুমড়া, স্কোয়াশ, ভুট্টা, মরিচ, পেঁয়াজ, চাষ করেছি। গত বছর করোনার কারণে মিষ্টি কুমড়ার দাম পাইনি, এবার আশা করছি ভালো দাম পাওয়ার। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলনও ভালো হবে। এই তিস্তা চরে আবাদ করে আমাদের নদীপারের মানুষের সংসার চলে। চাষাবাদের জন্য তেমন কোনো জমি নাই, প্রতিবছর নদীতে চর জাগলে চাষাবাদ করি। এলা হামার কাছোৎ তিস্তার চরই সাদা সোনা।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল আলম জানান, এ উপজেলায় চরাঞ্চলের প্রায় তিনশ হেক্টর জমিতে কুমড়াসহ প্রায় ২২শ’ হেক্টর জমিতে নানা জাতের ফসলের চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ ও উপজেলা পরিষদ থেকে কৃষকদের চরে যাতায়াতের জন্য ফ্রি নৌকা এবং চরের ফসলে সেচ দেওয়ার জন্য সোলার চালিত ৩টি পাম্প ও প্রায় ১ হাজার পাঁচশ ফিট সেচ পাইপ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বল্প সময়ের মধ্যে চরের চাষিদের বড় ধরনের কৃষি প্রণোদনাও দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান কৃষি বিভাগ চরের চাষিদের সঙ্গে রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চরের চাষিরা বেশি লাভবান হবে।

আগামীনিউজ/এএইচ 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner