1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

বেড়েই চলেছে মাছ-মাংসের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩, ১২:০০ পিএম বেড়েই চলেছে মাছ-মাংসের দাম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ মুরগির বাজারে অস্থিরতাটা কাটছেই না। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। তিন মাসে প্রকারভেদে মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। এমন দাম বৃদ্ধিতে একদিকে বিক্রি কমেছে বিক্রেতাদের, অন্যদিকে দফায় দফায় দাম বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস ভোক্তাদের।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার সাদা মুরগি ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫০ টাকা। একইভাবে দাম বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা দরে, যার দাম গত সপ্তাহে ছিল ৩৫০ টাকা। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬৩০ টাকায়।

তিন মাসের বাজারদর বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই সময়ে সাদা ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৭০ টাকা। আর দেশি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৮০ টাকা। অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও মার্চের ১৬ তারিখে এসে তার বাজারদর দাঁড়িয়েছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। একইভাবে ২৭০ থেকে ২৯০ টাকার সোনালি মুরগির দাম উঠেছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। আর ৫২০ থেকে ৫৭০ টাকার দেশি মুরগির দাম এখন ৬৫০ টাকা পর্যন্ত।

মুরগির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের জননী মুরগি হাউসের বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, মুরগির সরবরাহ কম। সরবরাহ না বাড়া পর্যন্ত বাজার ঠিক হবে না। ১৫০টা মুরগি অর্ডার দিলে হাতে পান ১১০টা। এভাবে কম পেলে বাজারে সংকট তৈরি হয়। আর সংকট তৈরি হলে দাম এমনিতেই বাড়তে থাকে।

মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজারের বিক্রেতা লিটন মিয়া বলেন, ‘মুরগির দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় তো বিপদেই আছি। আগের মতো বেচাকেনা নেই। আগে দাম কম থাকায় একজন ক্রেতা একসঙ্গে ৩-৪টা মুরগি নিলেও এখন নিচ্ছে একটা করে। বেচাকেনায় মন্দা, বাজার ঠিক হওয়া দরকার। আমরা কম দামে মুরগি পামু, কম দামে বিক্রি করব; এটাই চাওয়া আমাদের।’

মুরগির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, ‘মাছ-মাংস খাওয়ার কি আর উপায় আছে? যে দাম, এই দামে কেনা যায় না। রিকশা চালাই, যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চলে না। পোলাপানের পড়ার খরচ, বাসাভাড়া এসব দিয়ে কীভাবে যে চলি, তা একমাত্র আমিই জানি। খামুটা কী, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বাড়তি। মুরগির কেজি যদি হয় ২৬০ টাকা, তবে মাংস বলতে কিছু খাওয়ার থাকে? হায়রে দাম, আর কত বাড়বি?’

রাজধানীর বাজারগুলোতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা দরে। তিন মাস আগে গরুর মাংস ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। তিন মাসের ব্যবধানে খাসির মাংসের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা।

প্রতিডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায় ও সাদা ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। প্রতিহালি (৪টি) ডিম (লাল ও সাদা) বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দরে। তিন মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম হালিতে বেড়েছে ২ টাকা পর্যন্ত। তবে গত মাসে ডিম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা হালি দরে বিক্রি হয়েছে।

বাজারে সরবরাহ সংকটে কেজিতে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মাছের দাম। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশের দাম। আকারভেদে ইলিশের দাম কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ওজনভেদে ইলিশ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া আকারভেদে পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২১০ টাকা, চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৮০০ টাকা, কৈ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের দর বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিন মাসের ব্যবধানে পাঙাশ, তেলাপিয়া, রুই ও সিলভার কার্প মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত।

মাছের দামের বিষয়ে যাত্রাবাড়ীর শনিরআখড়া বাজারের বিক্রেতা আল আমিন বলেন, মাছের সরবরাহ কিছুটা কমেছে, তাই দাম বাড়তি। কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্তও বাড়ছে। বাজারে মাছ যত আসবে, তত দাম কমবে।

কারওয়ানবাজারের নিয়মিত ক্রেতা রহিজ উদ্দিন বলেন, মাছের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়, আবার কমে যায়। এখন দেখছেন ইলিশের দাম বাড়তি। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম তাই দাম বাড়তি।

এদিকে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজারে প্রতিকেজি শিম ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১১০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner