Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদীদের তান্ডব


আগামী নিউজ | জাহিদুল ইসলাম প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২১, ০৫:০৩ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদীদের তান্ডব

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ ২৬ মার্চ ২০২১ খ্রি. শুক্রবার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। আমাদের পার্টির এই উপলক্ষ্যে সারাদেশে প্রত্যেকটি জেলায় সুবর্ণ জয়ন্তীতে জাতীয় পতাকা ও লাল পতাকার মিছিল করার কথা। তাই বিকাল ০৪.০০ টায় আমরা অনেকেই প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে জমায়েত হয়েছিলাম, আরও কমরেডরা আসার পথে। ৪টা ১০ মিনিট সময় দেখলাম ঝরের বেগে একটি মিছিল দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে আসছে।

তার আগেই রাস্তার থাকায় হকার, ছোট দোকানদার দ্রুত ছোট-ছুটি করছে এবং দোকান পাট বন্ধ করে দিয়েছে। মিছিলের প্রথম ভাগে প্রায় ২০/৩০টি শিশু যাদের বয়স ১০-১৩ বছর। তার পর বাকীরা ২০-৩০ বছর বয়সী। সবার হাতে দেশীয় অস্ত্র, সাধারণত হেঁটে কেউই মিছিল করছেন না। সবাই সামনের দিকে দৌড়াচ্ছেন। আমাদের যারা জমায়েত হয়েছে তাদেরকে প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় পাঠালাম, আমরা ৪-৫ জন নিচে অবস্থান করছি। আমাদের সম্মুখ দিয়ে মিছিল দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে যাচ্ছে। রিক্সা, ভ্যান গাড়ি, ঠেলা গাড়ি, যাকে পাচ্ছে মিছিল কারিরা তাকেই ভাংচুর করার উদ্দেশ্যে আঘাত করছে। প্রেস ক্লাবের সামনে চা’র দোকানদার, জুতা পালিশ ওয়ালা সহ যারা আমাদেরকে চিনেন সবাই বলছেন আজ যেন আমরা মিছিলটা না করি।

আমাকে যারা অনুরোধ জানিয়েছেন তারা সবাই আমাদের পরিচিত ও শুভাকাঙ্খী। যে সকল সাধারণ মানুষ আমাদের সামনে দিয়ে রাস্তা অতিক্রম করছে সবাই বলছেন কাউতলী পুলিশ ফাঁড়ি, জেলা পরিষদ ডাকবাংলা, রেল ষ্ট্রেশন, সির্ভিল সার্জন অফিস, মৎস্য অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থাকা অনেক গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণপূর্ত ভবন, সড়ক ভবন, টিএনটি অফিস, ভাংচুর করা হয়েছে। জিজ্ঞাসা করলাম পরিচিত জনকে পুলিশ ছিল কিনা? বললেন না, কোথায়ও কোন পুলিশ দেখা যায় নি। প্রেস ক্লাব, সদর হাসপাতাল, জেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস, মুক্তিযোদ্ধা ভবন, কুমারশীল মোড়ের মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ছিল আমাদের অবস্থান, সেই সমস্ত এলাকায়ও একজন পুলিশ বা কোন নিরাপত্তা কর্মী চোখে পরে নাই।

তারপর পাইকপাড়াস্থ পার্টি অফিসে সুবর্ণ জয়ন্তীর আলোচনা শেষে রাত ৯.৩০ মিনিট যখন বাসায় যাই, শহর প্রায় লোক শূন্য, ঔষধের দোকান সহ সকল দোকান পাট বন্ধ, হকাররা তো বিকাল ৪ টায় শহর ছেড়েছে, ফলে আমি এবং আমার মত ২/৪ জন ছাড়া শহরের রাস্তায় আর কেউই নেই। শহর যেন ভ‚তের গলির রূপ ধারণ করেছে। ২৬ মার্চ কাউতলী ২নং পুলিশ ফাঁড়ির পুড়ানোর সময় পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যার সময় বিশ্ব রোডের পার্শ্বে নন্দনপুরে হেফাজতের নেতৃত্বে বিজিবির গাড়ী শহরে আসার সময় অবরোধ করেছে মৌলবাদী গোষ্ঠী। সেখানে দীর্ঘ সময় বিজিবির সাথে হেফাজতের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে বিজিবি গুলি করতে বাধ্য হয়। নন্দনপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে ০৫ জন মানুষ।

এই সময় হেফাজতের সাথে সাধারণ মানুষ যুক্ত হয়। ৫ জন মৃত ব্যক্তির মধ্যে ৪ জন সাধারণ মানুষ এবং একজন হেফাজত কর্মী। রাত থেকেই শহরে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির অবস্থান ছিল শক্তিশালী। ২৭/০৩/২০২১ তারিখ শহর সারাদিন থমথমে অবস্থা থাকলেও কোন প্রকার অঘটন ঘটে নাই। জামিয়া ইউনুছিয়া (কান্দিপাড়া) মাদ্রাসার ছাত্ররা একাধিক বার মিছিল করার চেষ্টা করলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান শক্ত থাকায় মিছিল করতে ব্যর্থ হয়। বিকাল সম্ভবত ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সাংসদ র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে টি.এ রোডে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার সামনে গেলে হেফাজতের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন মাদ্রাসা থেকে মাইকে অনেক অপপ্রচার করা হয়।

ছাত্রলীগ মাদ্রাসা ভেঙ্গে ফেলেছে, অনেক মাদ্রাসার ছাত্র শহীদ হয়েছে। কাজেই এখন ছাত্রলীগের রক্ত হালাল প্রভৃতি। এই ভাবে সম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠি সাধারণ ধর্ম প্রাণ মানুষকে উত্তেজিত করেছে। সরকারী মাইকে প্রচার করা হয় রাত ৯টা মধ্যে শহর ছেড়ে যার যার বাসায় চলে যেতে হবে। ২৮ মার্চ ২০২১ সকাল থেকে হেফাজত কর্মীরা মাঠে নামে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তাদের দখলে নিয়ে যায়। বেলা ১০.৪৫ মিনিট থেকে শুরু হয় ভয়ানক তান্ডব। শহরের তান্ডবে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। হেফাজতের সাথে যুক্ত হয় হেলমেট, প্যান্ট-শার্ট পড়া যুবক, বয়স ২০-৩০ হবে, তাদের সংখ্যা হবে আনুমানিক ৫০ থেকে ১০০ জন। ৪/৫টা ভাগে বিভক্ত, তাদের হাতে গান পাউডারের কৌটা দেখা গেছে। সেইদিন পৈরতলা বাসস্ট্যান্ডে থাকা বিজিবি ও পুলিশ লাইনে সম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হামলা চাললে বিজিবি ও পুলিশ গুলি চালায়।

তখন সেখানে একাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা যায় হতাহতের সংখ্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোট ১৩ জন। সেদিন ৬/৭ ঘন্টা ব্যাপী জেলা পরিষদ ভবন, পৌরসভা ভবন, সুর-স¤্রাট আলাউদ্দিন মিলনায়তন, ভাষা চত্তরে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন মেলা, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা ভবন, এশিয়া ব্যাংক, প্রেস ক্লাব, আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, ভ‚মি অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড, আনন্দময়ী কালিবাড়ী, আওয়ামীলীগের কার্যালয়, তার সংলগ্ন একটি ক্লিনিক, পৌরসভা মেয়রের বাস ভবন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাস ভবন, তার শ্বশুরের বাস ভবন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের বাস ভবন ও জেলা গ্রন্থাগার লুটপাট, ভাংচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

ভাংচুর করা হয়েছে শহরে একাধিক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও জ্বালিয়ে ছাই করা হয়েছে শত শত বঙ্গবন্ধুর ছবি, ব্যানার ও পোষ্টার। ২৬ মার্চ তারিখ ভাংচুর ও জ্বালাও পোড়াও কান্ড করা হয়েছে হেফাজত ও তাদের ভিতরে লুকিয়ে থাকা প্রশিক্ষিত কিছু লোক কর্তৃক। আর ২৮ তারিখ জ্বালাও-পোড়াও এর মত ধ্বংসাত্মক কান্ড চালিয়েছে প্যান্ট-শার্ট ও হেলমেট পড়া যুবকরা, আর বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, ছবি, ব্যানার, পোষ্টার ভাংচুর ও জ্বালাও পোড়াও এর সাথে যুক্ত ছিল হেফাজতের কর্মী, তাদের সাথে চোখে পড়ার মত সাধারণ মানুষ। তারা কারা? শহরের সাধারণ মানুষের ধারণা তারা হলেন ঘর পোড়ার সময় এক শ্রেণির মানুষ আলুুপোড়া দিয়েছে এবং সম্ভবত ক্ষমতাসীন এবং ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মধ্যে ক্রিয়াশীল দ্বন্দে¦র নানান পক্ষ এই ধ্বংস যজ্ঞের সাথে যুক্ত হয়েছে। আরও যুক্ত হয়েছে সারা বছর ওয়াজ মাহফিল শোনা এক শ্রেণির সরল সহজ ধার্মিক মানুষ। আশ্চর্যের বিষয় ২৮ মার্চ সদর মডেল থানা থেকে সারাদিন মাইকিং করা হয়েছে, সেখান থেকে বলা হয়েছে আপনারা (হরতালকারী) আপনারদের কাজ করুন।

আমরা আপনাদেরকে বাধা দিব না। আপনারা থানায় হামলা করবেন না। ২৯/০৩/২০২১ ইং তারিখে ২/১ জন পুলিশ কর্মকর্তা (ডি.এস.বি- এস.পি) কর্মকর্তার সাথে আমাদের কথা হয়েছে। আমি প্রশ্ন করলাম মোদি আসার অনেক আগে থেকেই অর্থাৎ যখন মোদিকে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তখন থেকেই হেফাজত কর্মীরা মোদি বিরোধী সভা-সমাবেশ, মিছিল করে আসছে। আমার প্রশ্ন হল, হয়ত মৌলবাদীদের তান্ডবের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার কোন রিপোর্ট ছিল না। নতুবা গোয়েন্দা সংস্থার রির্পোট থাকলেও মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কোন উদ্যোগ ছিল না। তিনি আমাকে এড়িয়ে গেলেন। এছাড়া ওনার কোন উপায়ও ছিল না। কেন এই তান্ডব? কেন এই ধ্বংসযজ্ঞ? ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই ঘটনা নতুন নয়। ১৯৫০ সালে ১২ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোককে তালশহর রেলষ্টেশনে রেলগাড়ি থেকে নামিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬২ সালে লোকনাথ দিঘীর ময়দানে কাদিয়ানীদের সমাবেশে হামলা চালিয়ে ০২ (দুই) জনকে হত্যা করা হয়েছে।

১৯৯৮ সালে ৭-১১ ডিসেম্বর প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র বিজয় মেলার আয়োজন করেছিল। সেখানে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এই বিজয় মেলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। ৭ই ডিসেম্বর ১৯৯৮ তারিখ মেলায় যোগদান করতে আসা শত শত দরিদ্র মহিলাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মৌলবাদী গোষ্ঠী। তখন ৫০ জন মহিলা আহত হয়েছিল। শত শত মহিলাদের বিবস্ত্র করে লাঞ্চিত করা হয়েছিল। ২০০১ সালে নারী নীতির বিরুদ্ধে ডাকা কর্মসূচী চলাকালে অনেক স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছিল। ২০১০ সালে হাইকোর্টের ফতোয়া বিরোধী রায়ের কারণে মৌলবাদী গোষ্ঠী তান্ডব চালিয়েছিল শহরে। ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের বিরুদ্ধে তান্ডব চালিয়েছিল এই জঙ্গীবাদী গোষ্ঠী। ২০১৫ সালে ১৫ই এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল সংগঠন মিলে নারীদের একটি জমায়েতকে কেন্দ্র করে মৌলবাদী শক্তি অনেক হুংকার দিয়েছিল।

প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা নারী সমাবেশ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। ২০১৬ সালের ১২ই জানুয়ারি এক মাওলানার সাথে অটো ভাড়াকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল শিল্প সংস্কৃতির কার্যালয়, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, রেলষ্টেশন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়সহ অনেক স্থাপনা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল এবং ভাংচুর করেছিল। আর মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তীর ০৩ (তিন) দিন যাবৎ এই ধ্বংসযজ্ঞের কথা সকলেরই জানা। প্রত্যেকটি ঘটনার সাথে ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতায় যাওয়ার সম্পর্ক আছে। ঘটনা ঘটার পরই ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দায়ী করে আর বিরোধী দল ক্ষমতাসীনদের দায়ী করে। ফলে ঘটনার মূল অপশক্তি থেকে যায় বিচারের বাইরে। তাদের কোন বিচার হয় নাই। এই বিচারহীনতা এবং শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক মৌলবাদী গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশয় দেওয়ার কারণে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠা মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি পুনরায় আরো আরো ভয়ঙ্কর ভাবে তাদের শক্তির জানান দেয়।

আমার ধারণা মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক তান্ডব অবসানের জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন, ঐক্য, পত্রিকায় লেখালেখি করা, টেলিভিশনে টক-শো, নেতৃত্বের পর্যায়ে ঐক্য যথেষ্ট নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা কৃষক, ক্ষেত-মজুর শ্রমিকসহ গরীব মেহনতি মানুষকে তত্ত¡ দিয়ে বুঝানোর অর্থ হলো জন্মান্ধকে দুধের রং বোঝানোর মতো ঘটনা। আদর্শগত সংগ্রাম উপরিকাঠামোতে অবশ্যই আমারা চালাবো, কিন্তু ষাধারন মানুষের উপর ধর্মীয় মৌলবাদী ও জংগীদের সামাজিক আধিপত্য কমানোর জন্য ইহলৌকিক প্রয়োজনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে সংগঠিত করে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ও শ্রেণিসংগ্রামকে তীব্রতর থেকে আরও তীব্রতর করা। এই দায়িত্ব নিতে হবে কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদেরকে। এর কোন বিকল্প নাই

(লেখক: সাধারণ সম্পাদক, সিপিবি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি)

আগামীনিউজ/প্রভাত

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে