Dr. Neem on Daraz
Victory Day

যুগে যুগে মানুষের হৃদয়ে বিপ্লবী চে গুয়েভারা


আগামী নিউজ | মো. আলী জামান প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২০, ১০:২৩ এএম
যুগে যুগে মানুষের হৃদয়ে বিপ্লবী চে গুয়েভারা

সংগৃহীত ছবি

গত ১৪ জুন ছিল বিপ্লবী নেতা চে গুয়েভারার জন্মদিন।অন্য বছর তার জন্মদিনে এখনকার তরুণ প্রজন্ম ছবিবুকে টি শার্ট আর, হাতে রিস্ট ব্যান্ড বেঁধে মাতামাতি করলেও এবারে তেমনটি দেখা যায়নি।তাই একপ্রকার নিভৃতেই তার জন্মদিনটি পার হয়ে গেল।

এখন চে' হয়ে গেছে- পুঁজিবাদী বিশ্বের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর বাণিজ্য উপকরণ।সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের প্রচার যন্ত্রের দুর্বলতা চে'কে সত্যিকার পরিচিতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।কিউবার বা তিস্তা সরকারকে উৎখাতের জন্য যে সমাজতান্ত্রিক লড়াইটা হয়েছিল, তার সহ- সংগঠক ছিল চে গুয়েভারা।অপর জন ফিদেল কাস্ত্রো। 

দেশটিতে সমাজতন্ত্রের বিনির্মান শুরু হলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কেনেডি কিউবায় রাজনৈতিক-বাণিজ্যিক অবরোধ করে।এরপর আমেরিকা সরাসরি দেশটি দখলের হুমকি দিলে- তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া কিউবার পাশে এসে দাঁড়ায়।পরিনতিতে আমেরিকা পিছিয়ে যায়।

চে'র উপর দায়িত্ব পড়ে দেশটিতে শিল্প বিপ্লব ঘটানোর জন্য।পাশাপাশি একজন চিকিৎসক হিসাবে কিউবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নেও তিনি ভূমিকা নেন।চে নিজে ছিলেন-একজন ডাক্তার।ওনি প্রথমেই নজর দেন বিপুল সংখ্যক ডাক্তার তৈরির প্রতি। ৮০ থেকে ৯০ এর দশকের মধ্যে কিউবায় প্রায় এক লক্ষ ডাক্তারের জন্ম হয়।শুরুটা করলেও শেষটা দেখে যেতে পারেননি তিনি।

এই কিউবার থেকে অনুপ্রেরিত হয়ে-১৯৭২ সালে ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী গনস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।পরবর্তী কালে ৮০ দশকে প্রেসিডেন্ট এরশাদকে কনভিন্স করে তৈরি করেন- ঐতিহাসিক ওষুধনীতি।এই নীতি কার্যকর হবার পর দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আসতে থাকে পরিবর্তন।চিকিৎসা সেবা চলে আসে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে।

এর ফলশ্রুতিতে, এদেশে বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলোর এতকালের একচেটিয়া ব্যবসার অবসান ঘটে।ওষুধের দাম অর্ধেকের বেশী কমে যায়।দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো দাঁড়িয়ে যায়।আজকের স্কয়ার বা বেক্সিমকো ফার্মা সহ ওষুধ কোম্পানিগুলোর যে রমরমা ব্যবসা, তা ঐ ওষুধ নীতিরই অবদান। দুর্ভাগ্য, ৯০ সালের পর কথিত গনতান্ত্রিক সরকার এসে সেই ওষুধনীতিটি বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়।এর ধারাবাহিকতা আজও বজায় রয়েছে।

চূড়ান্ত পরিনতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা চলে গেছে- সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে।স্বাস্থ্যসেবা হয়েছে- বাণিজ্যিক পন্য।গনস্বাস্থের ওষুধ ছাড়া অন্য কোম্পানির ওষুধের দাম হয়েছে আকাশছোঁয়া।কিউবা কিন্তু বসে নেই।আজ পৃথিবীতে যে দু’টি দেশ সুলভে আধুনিক-উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে- তার একটি হলো-কিউবা।অপরটি ইরান।

কোভিড-১৯ রোগ চিকিৎসায় ইউরোপের উন্নত দেশগুলিতে প্রদত্ত চিকিৎসা সেবা,ওষুধ আর সরঞ্জাম দিয়ে যে সহযোগিতা দিয়েছে- তা ওরা মনে রেখেছে।আর নোবেল পুরস্কার দেয়ার সুপারিশ করেছে।কিউবার আজকের এই অবস্থার জনক কিন্তু সেই। তার প্রতি রইল অসীম শ্রদ্ধা।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে