Dr. Neem on Daraz
Victory Day
ড.নিম হাকিমের ভাবনা (দেশ ও বিশ্ব)

সম্প্রসারণবাদ ও রাজনৈতিক মতবাদ


আগামী নিউজ | ড. নিম হাকিম প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২০, ০৯:২৮ এএম
সম্প্রসারণবাদ ও রাজনৈতিক মতবাদ

ভারত উপমহাদেশে বাণিজ্যের নামে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং ব্রিটিশরা শাসন করেছে প্রায় চার শত বছর। তখনও স্থানীয় সুবিধাবাদী ও বুর্জোয়া শ্রেণী জাতীয় স্বার্থ চিন্তা না করে নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থে ওই সব বেনিয়াদের সাহায্য করেছে। জাতীয় স্বার্থের সাথে তারা করেছে বেঈমানি। তাই পিছিয়ে পড়া বাঙালি জাতি আজ ভিক্ষুকের জাতি বলে বিশ্বের কাছে পরিচিত। শোষক শ্রেণীর ওই সব দোসররা সে যুগেও ছিল এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে দরিদ্র বিশ্বের সকল দেশে সকল সমাজে।

পুঁজিবাদীদের অনুচররা বার্মায়, নেপালে, ফিলিপাইনে, লেবাননে, আলজিরিয়া,সোমালিয়ায়, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ এবং ভারতসহ অনেক দেশেই দরিদ্র নিরসনের অজুহাতে বহু লোককে করেছে ধর্মান্তরিত। ধর্ম থাক আর যাক পেট পুরাতেই হবে। তাই এই পেট পুরানোর সুযোগ নিয়ে তারা এ কাজটি সহজেই করতে পেরেছে এবং এখনও পারছে। পুঁজিবাদী ধ্যান ধারণায় দরিদ্র মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে শোষণ করতে সুবিধা হয়। তাই এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে কোন ধরনের কলাকৌশল তারা অবলম্বন করে থাকে।

মানুষের মধ্যে প্রকৃতির দেয়া যে অন্তর্নিহিত ক্ষমতা রয়েছে তা পরিবেশের প্রভাবে সমভাবে বিকশিত হয় না। কারো মধ্যে বিকশিত হবার যে ক্ষমতা রয়েছে তা পরিবেশের প্রভাবে বিকশিত হয় না। আর করো মধ্যে বিকশিত ক্ষমতার পরিমাণ বেশি দেখা যায়।

সুতরাং যার ক্ষমতা বেশি সে ইচ্ছে করলে আপনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যের অধিকার হরণ করতে পারে। তাই আজ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তারা বিশ্বের অন্ত্র, অসচেতন ও দরিদ্র মানুষ যারা বিভিন্ন ধর্মাবম্বী তাদের জন্য প্রচলিত এই পশ্চিম গণতন্ত্র কতটুকু প্রযোজ্য।

ইউরোপ ও আমেরিকায় তৃতীয় বিশ্বের মত এত অধিক রাজনৈতিক দলের সংখ্যা নেই। বস্তুত তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য ও অভিন্ন। তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক ওই দেশগুলোর মত মিশ্রিত হয়ে এক জাতিতে পরিণত হয়নি। তাই এখানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের অমিশ্র বিধি প্রয়োগ কতটুকু ফলপ্রসূ হয় বা রাজনীতিতে যেখানে জাতি, ধর্ম ও বংশগত পার্থক্য বিদ্যমান, সে সকল দেশে প্রতিনিধিত্বের অমি ও অবাধ নীতি প্রয়োগের ফলে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় কর্তৃক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ কতটুকু সংরক্ষিত হয় তাও ভেবে দেখার বিষয়। কারণ সংখ্যা লঘিষ্ঠদের সম্প্রদায়িক রেয়াত বা অনুকম্পা দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার নাম গণতন্ত্র হতে পারে না বরং তাদের আত্মনিয়ন্ত্রধিকার প্রতিষ্ঠা ও মত প্রকাশের অধিকার ন্যায্য প্রাপ্য।

গণতন্ত্রের মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে যে ফলাফল গড়ায় তা সাধারণত সংখ্যা গরিষ্ঠ মতদন, মালদ্ব, সম্প্রদায় বা গোত্রের স্বার্থের অণকুলেই যায়। ফলে সংখ্যা লগিষ্ঠদের মতামতের কোনই মূল্য থাকে না। তাদেরকে নির্বাচনে সম্পৃক্ত কর। গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে নিছক আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

গণতন্ত্র মার্কসবাদকে মানবতা বিবর্জিত বলে উল্লেখ করে থাকে যদিও মার্কসবাদ, শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানব গোষ্ঠীর দলিত মানবতাকে উর্ধ্বে তুলে ধরার কৃতিত্বের দাবিদার। অপরদিকে মার্কসবাদীরা গণতন্ত্র একটি বিশেষ শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব সুর বিধায় তাকেও অমানবি ও অগণতান্ত্রিক বলে থাকেন।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে