ঢাকাঃ দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক। ভারতীয় ব্যবসায়ী দীপক আগারওয়ালের সঙ্গে কাজ করেছিলেন এই পেসার। জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করে উপার্জনের বড় ক্ষেত্র করতে চেয়েছিলেন স্ট্রিক।
আগারওয়ালের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের কোচ থাকাকালে স্ট্রিকের পরিচয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দলের ভেতরের তথ্য ফাঁস করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি আইপিএল, বিপিএল ও আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে নানা ভূমিকায় দায়িত্ব পালনের সময় এসব বিধি ভঙ্গ করেন তিনি। এই সময়ে জুয়াড়ির সঙ্গে চার খেলোয়াড়কে পরিচয় করান ৩৫ হাজার ডলারের দুটি বিট কয়েন ও স্ত্রীর জন্য আইফোনসহ নানা দামী উপহার নিয়ে।
২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে এই জিম্বাবুয়ান বাংলাদেশের বোলিং কোচ থাকায় ২০১৭ সালের বিপিএলেও নিজের প্রভাব বিস্তার করেন আগারওয়াল। স্ট্রিককে দিয়ে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আইসিসি বলেছেন, ২০১৭ সালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আসে মিস্টার এক্স (পরে তিনি আগারওয়াল নিশ্চিত হওয়া গেছে) স্ট্রিককে যোগাযোগের পথ তৈরি করে দিতে বলেন, দলের অধিনায়ক বা মালিক কিংবা খেলোয়াড়দের ফোন নাম্বার চেয়েছিলেন। এছাড়া দলের ভেতরের তথ্যও বের করতে বলেছিলেন স্ট্রিককে, যেমন কে জিতবে ম্যাচ এমন কিছু। যা ম্যাচ পাতানোর প্রক্রিয়া সহজ করে দেবে।
শেষ পর্যন্ত স্ট্রিকের সহায়তায় সাকিব ধরা পড়েন আগারওয়ালের ফাঁদে। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং ওই বছরের আইপিএলে তিনবার প্রস্তাব পেয়েও গোপন করেন, যার কারণে এক বছরের স্থগিতাদেশসহ দুই বছর নিষিদ্ধ হন বাঁহাতি অলরাউন্ডাার। তবে তামিম ছিলেন সতর্ক, তিনি আগারওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি জানান দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটকে।
আগামীনিউজ/নাসির