ঢাকা : করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারণে কোরবানির হাট ব্যবস্থাপনা এবং পশু বিক্রি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। হাটে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পশু কেনা-বেচা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এ অবস্থায় আসন্ন ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উপলক্ষে অনলাইন মার্কেটিং ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নাই বলে মত দিয়েছেন প্রাণি সম্পদ বিশেষজ্ঞরা। এ জন্য সরকারিভাবে খামারি, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের একই প্লাট ফর্মে আনার জন্য কাজ চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন আগামীনিউজকে জানান, করোনা মহামারির এ সময়ে কোরবানির পশুর বিক্রিকে অনলাইন বাজার বা একই প্লাট ফর্মে আনা প্রয়োজন। এবার অতীতের মতো হাটে অনেক পশু আনাও ঠিক হবে না। দূরত্ব রেখে কম সংখ্যক পশু বিক্রির জন্য হাটে তোলার ব্যবস্থা করা উচিৎ।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনে পশু বিক্রি নতুন নয়, বড় বড় অনেক খামারি তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে কয়েক বছর যাবত পশু বিক্রি করছেন। এবার করোনার কারণেেএর গুরুত্ব আরও বেড়েছে। এ বিষয়ে খামারিদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় অনলাইন হাট চালু করা প্রয়োজন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ কে এম আতাউর রহমান আগামীনিউজকে বলেন, করোনার কারণে সবাই সমস্যার মধ্যে রয়েছি। এবার স্বাস্থ্য বিধির কারণেই হয়তো অনেক খামারি হাটে তাদের পশু আনতে পারবেন না। তবে আমরা তাদের বিকল্প মার্কেটিয়ের জন্য কাজ করছি। ইতোমধ্যেই দেশের সকল বিভাগীয় প্রণিসম্পদ অফিসে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (খামার) ড. এবিএম খালেদুজ্জামান আগামীনিউজকে জানান, আমরা সারা দেশে খামারিদের সচেতন করার জন্য কাজ করছি। যাতে করে তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিজেদের গবাদি পশু হাটে তোলেন। যারা হাটে পশু তুলতে পারবেন না, বা কারো কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনার এ সময়ে খামারি ও ক্ষুদ্র চাষীদের গবাদিপশু বিক্রির জন্য আমরা মোবাইল ও অনলাইন প্লাট ফর্মের জন্য কাজ করছি। দেশের ৪ লাখ ২০ হাজার খামারি ও ক্ষুদ্র চাষীকে এর আওতায় আনা হচ্ছে। এজন্য আমাদের রিজিওনাল, মেট্রোপলিটন ও থানা অফিসে কর্মকর্তারা কাজ করছেন। দিচ্ছেন চাষীদের নানান তথ্য উপাত্ত। এছাড়াও আমাদের কাছে কেউ আসলে আমরা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে সমন্বয় করে দেব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মোবাইল এবং অনলাইন দুটো সেবাই চালু রাখা হবে। কেউ পশু কিনতে চাইলেও সাহায়তা দেয়া হবে, আবার বিক্রি করতেও সহায়তা করা হবে। যা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরং করা হবে।
আগামীনিউজ/তরিকুল/এমজামান