Dr. Neem on Daraz
Victory Day

পোশাক শ্রমিকরা নির্ধারিত সময়ে মার্চ মাসের বেতন পাচ্ছেন না


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবিদক প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২০, ০১:২২ পিএম
পোশাক শ্রমিকরা নির্ধারিত সময়ে মার্চ মাসের বেতন পাচ্ছেন না

পোশাক শ্রমিকের ব্যাংক একাউন্ট না থাকা, স্যালারি শীট তৈরি না করা সহ প্রভৃতি কারণে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী ঘোষিত তারিখের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের বেতন দেয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। আর এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রমিকরা।
এর আগে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে কারখানা বন্ধ থাকলেও কোনো শ্রমিককে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা যাবে না। শ্রমিকদের গত মার্চ মাসের বেতন আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ করতে শিল্প কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৬ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের হাতে বেতন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব না। কেননা বেশিরভাগ কারখানা বন্ধ। পেপার ওয়ার্ক সহ অন্যান্য কার্যক্রমে সময় লাগবে। এছাড়া ব্যাংক খুলবে ১৫ এপ্রিল। ব্যাংক খোলার এক দিনের মাথায় বেতন দেওয়া সম্ভব নয়। এ অবস্থায় ১৬ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকের বেতন নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন, ১৬ তারিখ সম্ভব না হলেও এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বেতন পাবে শ্রমিকরা।


ডেল্টা গ্রুপের কর্মকর্তা এম এস আহমেদ বলেন, শুধু মাত্র আমরা না অনেক গার্মেন্টসই ১৬ তারিখের বেতন দিতে পারবে না। কেননা বেশিরভাগই কর্মকর্তাই ঢাকার বাইরে। এইচ আর, এডমিনরা তো ঢাকার বাইরে। স্যালারি শীট করবে কে, আর অডিট করবে কে। ১৬ তারিখে বেতন দেয়া সম্ভব না। শ্রমিকদের ব্যাংক একাউন্ট না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোন শ্রমিকেরই ব্যাংক একাউন্ট নেই। আমরা হাতে টাকা দিয়ে দেই।


তিনি আরো বলেন, ব্যাংক থেকে আমাদের ১৫ তারিখে মধ্যে সব কাগজ পত্র জমা দিতে বলেছে। কিন্তু সবাই তো ঢাকার বাইরে।
জি এম এস কম্পোজিটের এক কর্মকর্তা বলেন, আশা করছি ১৬ তারিখের মধ্যেই বেতন দিতে পারবো। আমাদের ফ্যাক্টরি বন্ধ, এইচ আর সবার বেতন শীট তৈরি করতে পারেনি।  আমরা সব কিছু বিবেচনা করে দ্রুত কাজ করছি। তিনি আরো বলেন, আমরা অন্য সময় ২৫ তারিখ থেকে বেতন দেওয়ার প্রস্তুতি নিই এবং ৫ তারিখে বেতন দেই।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চ মাসের ২৬ তারিখ থেকে এই মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ১৪ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয় সাধারণ ছুটি।


অর্ডার না থাকলে গার্মেন্টস ও কলকারখানা বন্ধের পরামর্শ দেয় বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ। তবে গতকাল বুধবার রাজধানীসহ সারা দেশে ৪১ টি গার্মেন্টস খোলা ছিল। 


গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন, অধিকাংশ শ্রমিক গ্রামের বাড়িতে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে একসঙ্গে অনেক শ্রমিকের বেতন দিতে গেলে জটিলতা হতে পারে। তবে ২০ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে বেতন দেওয়া সম্ভব।
এতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। তারা বলছেন, সংকটের এই সময়ে মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতায় তারা বিরক্ত। আহমেদ হাসান নামের এক পোশাক শ্রমিক বলেন, এই সময়েও মালিকরা বেতন দিতে দেরী করছে। আমরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি কিন্তু আমাদের খোজ কেউ রাখেনা।


বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, গার্মেন্টসগুলোতে কাজ না থাকলে পোশাক শ্রমিকরা অর্ধেক বেতন সহ লে অফের সকল সুযোগ সুবিধা পাবেন। আর যে সমস্ত পোশাক শ্রমিক গার্মেন্টস বন্ধের আগে বাড়ি চলে গেছে কিন্তু এখন ফিরতে পারছনে না তাদের চাকুরি যাবেনা।  

আগামীনিউজ/সাইফুল হক মিঠু/ বিজয়

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে