Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কেউ পাচ্ছে কেউ পাচ্ছেনা, ওদের খবর কেউ রাখছে না


আগামী নিউজ | সাইফুল হক মিঠু প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২০, ০৫:০৮ পিএম
কেউ পাচ্ছে কেউ পাচ্ছেনা, ওদের খবর কেউ রাখছে না

ঢাকা: করোনা পরিস্থিতিতে টানা ৬ষ্ঠ দিনের মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে পরিহবহন শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, কুলিসহ অসংখ্য শ্রমজীবি মানুষ।এসব মানুষের ঘরে খাবার না থাকায় জীবিকার তাগিদে বের হলেও মিলছে না কোনো কাজ।

দূর্যোগের এই সময়ে নিম্নবিত্তদের সহযোগীতা করছেন অনেক বিত্তশালী প্রতিষ্ঠান ও এনজিও। তবে সেখানে থেকে ত্রাণ,অনুদান নিচ্ছেন ভিক্ষুক, রিকসা চালকরা।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে গত কয়েক দিনের তুলনায় সড়কে বেশি সংখ্যক রিকশা ও অটো রিকশা চোখে পড়লে যাত্রী মিলছে না। শহরের বিভিন্ন মোড়ে অলস সময় পার করছেন পরিবহন ও নির্মাণ শ্রমিকরা।

শ্রমিকরা বলছেন, সরকারি সিদ্ধান্ত তারা মেনে নিয়েছেন। তবে পরিবার বাঁচাতে সরকারি অনুদানের প্রয়োজন। অনেকেই ত্রাণ দিলেও সেগুলো সংগ্রহ করা তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

মিরপুর ১২ নাম্বারে শিকড় বাসে লুড়ু খেলছিলেন চার পরিবহন শ্রমিক। তারা জানালেন পরিবহন চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছেন তারা। শফিক নামের একজন হেল্পার আগামী নিউজ ডটকমকে বলেন, ত্রাণ আমরা পাইনা। আমাদের তো দিন এনে দিন খেতে হয়। আমাদের অবস্থা বুঝেন?
 
পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন সময়ে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে স্বোচ্চার হলেও বিপর্যয়ের এই সময়ে তারা তাকিয়ে সরকারের দিকে।

জাতীয় সড়ক পরিবহন মটর শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক আগামী নিউজ ডটকমকে বলেন, গাড়ি না চললে শ্রমিকরা না খেয়ে থাকে। তাদের পরিবারও না খেয়ে থাকে। কয়েক লাখ পরিবার এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের বাঁচাতে সরকারের পদক্ষেপ প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের এক সদস্য বলেন, সংগঠন গুলো চাঁদায় চলে। তাদের পক্ষে দাবি তোলা ছাড়া বিশেষ কিছু করার নেই। অন্যদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবুও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সিএনজিতে ও মিলছে না যাত্রী।


তাদের অভিযোগ, সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হলেও তারা এখন পর্যন্ত কিছুই পাননি।


ঢাকা জেলা ফোরস্টোক অটোরিক্সা (সিএনজি) ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, জমা উঠবেনা এই ভয়ে চালকরা সিএনজি নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, উবার, পাঠাওয়ের কারণে ট্রিপ এম্নেতেই কমে।গেছে। চালকদের জন্য সরকারি সাহায্য চাইলেন তিনি।
 
অন্যদিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দু:চিন্তায় পড়েছেন  ভিক্ষুকরাও। সারাদিন ভিক্ষা করেও মিলছে না চাল কেনার পয়সা। তবে সিটি করপোরেশন সহ বিভিন্ন যায়গা থেকে ত্রাণ পেয়েছেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন।


এদিকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন নির্মাণ ও গৃহশ্রমিকরা। করোনার কারণে অনেকেই বিল্ডিংয়ের কাজ বন্ধ করেছেন। অনেক বাসা থেকে কাজের বুয়াদের কাজে না আসতে বলা হয়েছে। তারাও চাইছেন সমাজের বিত্তবান মানুষের সহযোগীতা।

আগামী নিউজ/মিঠু/নাঈম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে