ঢাকা: করোনাভাইরাস মোকাবেলার ১০ দিনের সরকারি ছুটিতে কার্যত অচল সারা দেশ। যানবাহন চলছে না। মিল- কলকারখানা ও বন্ধ। নিজঘরে সময় কাটাচ্ছে মানুষ।
চারদিকে নেই ধুলাবালি কিংবা ধোঁয়ার রাজত্ব। এ সুযোগে নিজের রূপের জানান দিচ্ছে প্রাণ ও প্রকৃতি।
পাখির কিচির মিচিরে মুখরিত থাকছে দিনের বেশিরভাগ সময়। গাছে গাছে ফুটেছে রকমারি ফুল। বাতাসে ভাসছে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। সাগরে ফিরেছে শুশুক।
রবিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই বিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’-এর বায়ুমান সূচক (একিউআই) ইনডেক্সে সূচকে মান ছিল ৮০। যদিও পরিবেশ অধিদফতরের মানমাত্রায় ৫০ একিউআইকে স্বাভাবিক বায়ু বলা হয়।
রাজধানীসহ সারদেশে এমন নীরব নিঝুম পরিবেশ: কল্পনা করাও দায় ছিলো। কিন্তু অবাস্তব হলেও এটাই সত্য যে সব কিছু এখন প্রকৃতির নিয়ন্ত্রণে।
মার্চের শুরুতেও ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ে চিন্তা ছিল। বলা যায় করোনার নিঠুর প্রতিশোধে কমছে বাতাসে দূষণ।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল আগামী নিউজ ডটকমকে বলেন, মানুষের অবিবেচক আচরণে প্রকৃতি কতটা বিপর্যস্থ তা এই অল্প কয়েকদিনেই বোঝা গেল। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিপর্যয় মোকাবেলায় এই শিক্ষাকে কাজে লাগানোর জন্য করোনা দূর্যোগ মানব জাতিকে একটা সুযোগ করে দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ বাচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারম সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সোবাহান আগামী নিউজ ডটকমকে বলেন, কক্সবাজারে পর্যটকদের ভীড়, ট্রলার, স্টিমারের চলাচলে শুশুক সাগর তীরে আসতো না। এখন সাগর শান্ত। সমুদ্র পাড়ের পরিবেশ ও কোলাহল মুক্ত। এটা আমাদের জন্য ভালো। তিনি আরো বলেন, বাতাসের গুনগত মান আরো ভালো হবে।
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যেমন মেট্রোরেল কিংবা কাটা খোড়া সড়ক প্রকল্পগুলো এখনো চলমান কিংবা স্থিতি অবস্থায় আছে। এসব যায়গা থেকে ধুলা উড়ে বাতাসে মেশায় এখনো সন্তোষজনক অবস্থায় আসছে না বায়ূর মান।
তিনি বলেন, লকডাউন বাদে অন্য সময়েও সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে বায়ূর মান ভালো রাখা যায়।
সেক্ষেত্রে পরিকল্পনা মাফিক আমাদের কাজ করতে হবে। পরিবেশের সুরুক্ষা হয় এমন ভাবে উন্নয়ন কাজ গুলো করতে হবে। ঢাকার চারপাশের ব্রিক ফিল্ড গুলো সরাতে হবে। যানবাহনের পরিমাণ কমিয়ে গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
আগামী নিউজ/মিঠু/ডলি/নাঈম