Dr. Neem on Daraz
Victory Day

লালনগীতির প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-৮৬


আগামী নিউজ | সাঁঈজি সিরাজ সাঁঈ  প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২০, ০৯:০৫ এএম
লালনগীতির প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-৮৬

সকলি কপালে করে
কপালের নাম গোপাল চন্দ্র
কপালের নাম গুয়ে গোবরে॥
যদি থাকে এই কপালে
রত্ন এনে দেয় গোপালে
কপালে বিমতি হলে
দূর্বা বনে বাঘে মারে॥
কেউ রাজা কেউ ভিখারী
কপালের ফ্যার হয় সবারি
মনের ফ্যারে বুঝতে নারি
খেটে মরি অনাকারে॥
যার যেমন মনের বাসনা
তেমনি ফল পেয়েছে সে না
লালন বলে কাঁদলে হয় না
বিধির কলম আর কি ফেরে॥

প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা: মানুষ তার কর্মফল অনুযায়ী তার নিজের ভাগ্য রচনা করে। যার যেমন কর্মফল তেমনিভাবেই বিধাতা তার চির বিধান অনুযায়ী তার কপাল তৈরি করে। এই ক্ষেত্রে বিধাতাও বিধানের দ্বারা আবদ্ধ। যে যেভাবে তার ইচ্ছা বা কর্ম পরিচালনা করছে ঠিক সেই বিধানের ধারাবাহিকতায় তার ভাগ্য বা কপাল রচিত হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে বিচার করলে প্রত্যেকেই নিজ নিজ ভাগ্য রচনার ক্ষেত্রে নিজেই বিধান দাতা হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। এই ক্ষেত্রে অন্য কোনো শক্তিকে দায়ী করার কোনো সুযোগ নেই।

সেই কারণে যে যার কর্মফলের দ্বারা তার ভাগ্য রচনা করছে সেই অনুযায়ী তার ভাগ্যের সেই জাতীয় সুবিধা আসে বা বঞ্চিত হয়। কারোর কর্ম গুণে এমন ভাগ্য রচিত হয়েছে যে, সে ভাগ্যের দ্বারা রত্ন লাভ করে। আবার কেহ এমন ভাগ্য রচনা করে যে দূর্বা বনে মনের দুর্বলতার কারণে সে অজ্ঞানতার কারণে সাপ মনে করে নিজের মৃত্যু ঘটায়। তাই নিজেই সকল কর্মের বা ভাগ্যের জন্য দায়ী।

সেই বিবেচনায় যার যার মনের বাসনা বা কর্মফলের কারণে সে তার প্রাপ্তি পায়। তার কর্ম ফলের বাইরে কোনোই প্রাপ্তি নেই। তার কর্ম না থাকলে কেঁদেও কোনো লাভ হয় না। কারণ বিধাতার/কর্মের অর্জিত ফল কোনো অবস্থাতেই রোধ হয় না এটাই এক মহা বিধান।

০৮-০৬-২০১৭

সকালঃ ৮:২২

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে