Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মনমোহন দত্তের মরমী সঙ্গীতের প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-৬২


আগামী নিউজ | সাঁঈজি সিরাজ সাঁঈ প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২১, ১২:২৫ পিএম
মনমোহন দত্তের মরমী সঙ্গীতের প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-৬২

মলয়া সংগীতের জনক, মরমী সাধক, কবি, বাউল ও সমাজ সংস্কারক মনমোহন দত্ত। ছবিঃ সংগৃহীত

তারে নারে তানা না না
তা ধিন্ ধিন্ ধিন্ বাজাও রে ভাই।
সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি, সা,
সারে গা আলেক সাই।
তা রে তা রে তালাস করে
গা মা পা ধা নি মা গারে,
তা রে না রে তানা না না
সুর তান লয় মুর্ছ না,
মনোও জানেনা তাই।
ধাগে তেটে ধাগে তেটে
ভাব এসে যখন জুটে
বেসুরাতে সুর লাগাই
উথলে উঠে মনের মনি
প্রাণ দিয়ে প্রাণ টানাটানি,
প্রাণের দোসর হলে তাই।
ধা গে ড়েনা গদ্দি,
বাজাইয়ে আপ্তাবদ্দি,
গায় গুনী জন ঠাই॥

প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যাঃ
মানুষ সারাটা জীবন তারে নারে তানা না না করে জীবন অতিবাহিত করে। মানুষ প্রজ্ঞার অধিকারী না হওয়া পর্যন্ত জীবনটা একটা অনুমানের মধ্যে অতিবাহিত করে। এই জীবন চলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে পরিচালিত করে। কেবলমাত্র বস্তুর প্রতি আকর্ষিত অবস্থায় জীবন পরিচালিত করাকেই তানা না না সাথে তুলনা করা হয়েছে।

মানুষ সাধনার মাধ্যমে নিজের অন্তরের মধ্যে যে শক্তি আছে তার সন্ধান পাওয়ার পর তার মধ্যে প্রজ্ঞার শক্তি সৃষ্টি হয়। তখন তার পূর্বের অজ্ঞান অবস্থার যে তানে না না ভাবের পরিবর্তন ঘটে। আগে প্রজ্ঞার অভাবে যেমন বেসুর ভাব দেখা দিয়েছিল। আজ প্রজ্ঞার কারণে তার মধ্যে সকল সুরই প্রকৃত সুর হিসেবে দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে আর কোন বিভেদ নেই। সব কিছুর মধ্যেই সে অভিন্ন সুর লক্ষ্য করতে সক্ষম হচ্ছে। আজ তাঁর প্রজ্ঞার শক্তির কারণে বিশ্ব প্রকৃতির মাঝে যে অভিন্ন সত্য ও সুন্দরভাব আছে এখন তার সাথে সেই সুন্দরের মিলন ঘটেছে। ফলে তার আর কোন সুরে কোন বেসুর ভাব নেই। সব কিছুর সাথে তার প্রজ্ঞার এক সহজ ভাবের সৃষ্টি হয়েছে। যার অন্তরের মধ্যে প্রজ্ঞার শক্তির মাধ্যমে প্রকৃত রূপের ভাব জাগ্রত হয়, তখন সে সত্ত্বা বিশ্বময় সত্ত্বার সাথে একাকার হয়ে নিজেও বিশ্বময় সত্ত্বার অংশ বিশেষ হয়ে যায়। তখন বিশ্ব সুর তার মধ্যে প্রবাহিত হয়।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে