Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মনমোহন দত্তের মরমী সঙ্গীতের প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-২৪


আগামী নিউজ | সাঁঈজি সিরাজ সাঁঈ প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২১, ১২:৫৪ পিএম
মনমোহন দত্তের মরমী সঙ্গীতের প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-২৪

মলয়া সংগীতের জনক, মরমী সাধক, কবি, বাউল ও সমাজ সংস্কারক মনমোহন দত্ত। ছবিঃ সংগৃহীত

ইহাই এখন মন ঠিক বুঝে রাখো
ভূত ভাবী ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে থাকো।
তার ইচ্ছাতে জেনো ভবে,
যা হয়, হতেছে, হবে,
ভেবে ভেবে কেন তবে,
বসে নানা চিত্র আঁকো।
যা যখন আছে সম্মুখে,
তাতেই মন থাকো সুখে,
মনো কয় ইহলোকে,
ভাবিলে সকলি ফাঁক।

প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যাঃ
মানুষের মন খুবই বস্তুমুখী। সে সব সময় বস্তুতে ভর করে চলে। তার এই বস্তুমুখী কর্ম সর্ব্বদা অতীত ও ভবিষ্যতের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। সে কোন অবস্থাতেই বর্তমানে থাকে না। ফলে তার মন সর্ব্বদা কল্পনাতে রত থাকে। কল্পনা এবং ভবিষ্যতের চিন্তা-চেতনা মানুষকে দুঃখে ফেলে দেয়। সেই দুঃখ থেকে মুক্তির জন্য মানুষকে সর্ব্বদা বর্তমানে থাকতে হবে।

মানুষ আজীবন বস্তু অর্জনের জন্য মনকে সদা ব্যস্ত রাখে। তার মন প্রতিটা মুহুর্তে বস্তুর উপর ভর করে বস্তুর মধ্যে আবর্তিত হয়। সেই বস্তু আবার বর্তমানে না থেকে ভূত ও ভাবীর মধ্যে আবদ্ধ থাকে। প্রজ্ঞাবান মনোমোহন মানুষকে বর্তমানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। মানুষ যখন বর্তমানে থাকে তখন তার সকল দুঃখ দূর হয়ে বর্তমানে যা আছে তাতেই সুখে থাকে। বর্তমানে থাকার অর্থই সুখে এবং প্রশান্তিতে থাকা। অতীত বা ভবিষ্যতে থাকার অর্থই হচ্ছে নিজেকে বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট রেখে দুঃখে নিপতিত হওয়া। তাই মানুষ প্রশান্তিতে থাকতে চাইলে তাকে অবশ্যই বর্তমানে থাকতে হবে।

মানুষ দুঃখে নিপতিত হতে কোন প্রচেষ্টাই করতে হয় না। সে সবসময় দুঃখের মধ্যেই আছে। কারণ দুঃখের মূলে আছে বস্তুর প্রতি আকর্ষিত। মন সর্বদা অতীত ও ভবিষ্যতে বিরাজ করা। সেই কারণে দুঃখ থেকে মুক্তির জন্য সাধনা লাগে। মানুষ যখন কোন প্রজ্ঞাবান সত্ত্বার নির্দেশনা মোতাবেক সাধনার মাধ্যমে নিজের অন্তরের শক্তিকে জাগিয়ে তুলবে এবং সেই শক্তির মাধ্যমে মনকে অতীত ও ভবিষ্যত থেকে সরিয়ে নিয়ে সর্বদা বর্তমানে অবস্থান করবে তখনই সে নিজেকে প্রশান্তিতে রাখতে সক্ষম হবে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে