Dr. Neem on Daraz
Victory Day

মনমোহন দত্তের মরমী সঙ্গীতের প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-২৩


আগামী নিউজ | সাঁঈজি সিরাজ সাঁঈ প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২১, ০৯:৪০ পিএম
মনমোহন দত্তের মরমী সঙ্গীতের প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যা-২৩

মলয়া সংগীতের জনক, মরমী সাধক, কবি, বাউল ও সমাজ সংস্কারক মনমোহন দত্ত। ছবিঃ সংগৃহীত

আয়রে বাতাস বেগে ছুটিয়া।
আমার হৃদয় চাঁদের মুখখানা
রেখেছে মেঘে আবরিয়া।
প্রাণ শশীর মুখে হাসি,
রড়ই মধুর ভালোবাসি,
আয় রে সাকালে আসি, দে রে মেঘ সরাইয়া।
হাসিতে হাসিতে মাখিয়া হাসি,
অফুরন্ত হাসাহাসি,
করে প্রাণে প্রাণে মিশামিশি হাসিতে পড়ি মিশিয়া।
আনন্দে হƒদয়ে রাখি
সতত আনন্দে থাকি
মনোমোহন বড়ো দুঃখী যেওনা তারে পাশরিয়া॥

প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যাঃ
মনোমোহন জ্ঞানী সত্ত্বা। তিনি মানুষের মনের অবস্থাকে ব্যাখ্যা করেছেন। মানুষের অন্তরের মধ্যে চাঁদের রূপ বিরাজ করে। নিজ অন্তরের মধ্যে যে মহাশক্তির অবস্থান আছে সেই শক্তিকে চাঁদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এই চাঁদকে মনের লোভ, দ্বেষ ও মোহ দ্বারা ঢেকে রাখা আছে। এই মনের বস্তুগত আকর্ষণ দ্বারা মেঘ রূপে চাঁদকে তথা চাঁদের মুখকে আচ্ছাদিত অবস্থায় আছে। সে কারণে নিজের মধ্যে প্রশান্তির অবস্থা থাকা সত্ত্বেও মানুষ হাসতে পারছে না। সে চাঁদের উদয় না করার কারণে মনের বস্তুগত আকর্ষণের কারণে সর্বদা দুঃখে পড়ে আছে। নিজের মনের মেঘকে যখন সরাতে পারবে তখন তার অন্তরের চাঁদ কে জাগিয়ে উঠতে সক্ষম হবে এবং নিজে আনন্দে হাসির বন্যায় সবসময় মেতে থাকবে।

প্রতিটা মানুষ নিজে একজন মহাপরাক্রমশালী সত্ত্বা। তার নিজের অন্তরের মধ্যে যে শক্তি তথা মনিমুক্তা আছে তার সন্ধান যদি সে পায় তাহলে তার জীবনে আর কোন দুঃখ বোধ থাকে না। সে তখন মনিমুক্তার অধিকারী হয়ে সদা সর্বদা আনন্দে থাকতে পারে।
মানুষ নিজের মনের দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারণে যে সর্বদা নিজের অন্তরের দিকে না তাকিয়ে বাইরে বাইরে অবস্থান করে। তার মনের বস্তুময় আকর্ষণের কারণে বাইরে বাইরে ঘুরা ফিরার কারণে নিজের মনের মধ্যে অজ্ঞানতার এক মেঘ জমা হয়। ফলে সে সর্বদা দুখে নিপতিত হয়। নিজে আর হাসতে সক্ষম হয় না। যখন সাধনার মাধ্যমে নিজের মনের এই বস্তুগত মেঘকে সরানোর মাধ্যমে অন্তরের চাঁদের হাসি ফুটে ওঠে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে