Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা


আগামী নিউজ | অনিক সিকদার প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২০, ১২:৪৩ পিএম
ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

রাজবাড়ীঃ মন্দিরের পাশে চোখ পড়তেই দেখা গেল রঙের ছড়াছড়ি। সাদা রঙের প্রতিমাগুলো জ্বল জ্বল করছে। একেকটি পাত্রে লাল, গোলাপি, হলুদ, সবুজসহ নানা রং রাখা। কেউ রং লাগাচ্ছেন, কেউ মাটির প্রলেপ দিচ্ছেন। প্রতিমায় রং তুলির শেষ আচর আঁকতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।

রাজবাড়ী জেলার পাঁচ উপজেলার পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন রং তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা। নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় এসব কাজ করছেন তারা। তবে এবার বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে পূজামণ্ডপকে আকর্ষণীয় করতে আলোক সজ্জা ও গেট নির্মাণের জন্য নেই প্রতিযোগিতা।

সরেজমিনে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, পূজামণ্ডপে সব কিছুই ভিন্ন। অসুর বধের পুরো চিত্রটি তুলে ধরা হয়েছে প্রতিমার মধ্যে দিয়ে। দশভুজা দুর্গাদেবীর কারুকাজগুলো হয়েছে আকর্ষণীয়।

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি মহাশ্মশান ও কেন্দ্রীয় মন্দিরে নানা আকারের প্রতিমা বানানো হচ্ছে। এ সময় ফরিদপুর জেলা থেকে প্রতিমা তৈরী করতে আসা চল্লিশ উর্দ্ধো কৃষ্ণ পাল তার সহকর্মী একেক জনকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন কোনটায় (প্রতিমা) কী দিতে হবে। বংশপরম্পরায় তাঁরা প্রতিমা গড়েন। এ সময়টা এলে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে প্রতিমা গড়ার কাজে বেরিয়ে পড়েন।

মৃৎশিল্পী কৃষ্ণ পাল বলেন, রথের পর থেকে তাঁরা বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু করেন। প্রতিমা গড়তে একটা পুরো সেট ৭-৮জন সময় লাগে আবহাওয়ার পর নির্ভর করে ১৫-২০ দিন। কাঠ, বাঁশ, খড়, এঁটেল ও বেলে মাটি দিয়ে মূলত প্রতিমা (দেবী দুর্গা, গনেশ, লক্ষী, কার্তিক, শিব ও সরস্বতী) বানানো হয়। পূজার দিন যত ঘনিয়ে আসছে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততাও বাড়ছে তত বেশি। প্রত্যেক শিল্পীরা চান নিজের তৈরী প্রতিমা অন্যের চেয়ে সুন্দর ও শৈল্পিক করে তুলতে। তাইতো তারা মনের মাধুরী মিশিয়ে এখন দুর্গা প্রতিমাসহ বিভিন্ন প্রতিমার অবয়ব দিচ্ছেন। ফলে নিজেদের মধ্যে চলছে নিরব প্রতিযোগিতা।

মন্দির গুলোতে মৃৎশিল্পীরা মনের মাধুরী মিশিয়ে হরেক রকমের তৈরীকৃত প্রতিমায় রং তুলির শেষ আচর আঁকতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। তাইতো মৃৎশিল্পীদের এখন দম ফেলানোর ফুসরত নেই বললেই চলে। শিল্পীদের প্রতিমা তৈরীর আয়োজন দেখে পাড়ার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে পূজার আগাম আমেজ কাজ করেছে।

ইতিমধ্যে পূজারীরাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পূজা মন্ডব গুলো সাজানোর কাজে। এতে করে পূজারীদের মধ্যেও শুরু হয়েছে নিরব প্রতিয়োগিতা। তবে পূজারীদের আর্থিক বাজেটের উপর নির্ভর করচ্ছে মন্ডব সাজানো। যে মন্ডবে যত বেশি আর্থিক যোগান দেওয়া যাবে, সেই মন্ডব তত বেশি সুন্দর ও শৈল্পিক হবে।

উল্লেখ্য, রাজবাড়ী জেলাতে এবার ৪০৮ টি মন্দিরে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামীনিউজ/এএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে