রংপুরঃ দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউনের ১ম দিনেও করোনার ২য় ঢেউয়ের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ইট-পাথর ঘেরা ভবনের শহর থেকে নির্মল পরিবেশের গ্রামের দিকে ছুটছেন মানুষ। এসব মানুষ পরিবহন্র পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে নানান ফন্দি আটছেন মাইক্রোবাস চালকরা। বিভিন্ন সরকারী মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগিয়ে, এম্বুলেন্সে করে যাত্রী পরিবহন করছেন তারা।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) রংপুর নগরীতে এরকম গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এতে ঠাসাঠাসি করে চলাচল করায় করোনা সংক্রমিত হওয়ার প্রবল ঝুকি থেকেই যাচ্ছে।
বুধবার লকডাউনের ১ম দিনে নগরীর সোনালী ব্যাংকের সামনে জীবন বীমা মোড় এলাকায় অর্থ মন্ত্রনালয়ের স্টিকার লাগানো একটি হাই এইস মাইক্রোবাস আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। ঢাকা মেট্টো চ-১৯৮১৮৪ নাম্বার প্লেটের গাড়িটির সামনে অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রনালয়ের স্টিকার লাগানো ছিলো। মাইক্রোবাসটিতে ১২ জন শ্রমজীবী মানুষকে পাওয়া যায় যারা গাদাগাদি করে ঢাকা থেকে আসছেন। তাদের গন্তব্য লালমনিরহাট- কুড়িগ্রাম। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই তাদের এই কৌশল।
এদিকে রংপুরের লালবাগ এলাকায় একটি এম্বুলেন্স আটক করে মেট্টোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ। এতেও ১৬ জন শ্রমজীবী মানুষকে পাওয়া যায় যারা গাদাগাদি করে ঢাকা থেকে ফিরছেন। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতেই তারা উচ্চমূল্যে এম্বুলেন্স ভাড়া করেছেন। তাদের গন্তব্য নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ।
পরে তাদেরকে জরিমানা সহ পরবর্তীতে এমন কাজ না করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
এদিকে রংপুর নগরী জুড়ে রয়েছে পুলিশের কঠোর অবস্থান । বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে, টহল দিয়ে লকডাউন নির্দেশনা মানাতে কাজ করছে পুলিশ। পরিচালনা করা হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সার্বিক বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, লকডাউনের বিধিনিষেধ মানাতে মাঠে রয়েছে পুলিশ। কঠোরভাবে অযথা ঘোরাঘুরি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। এছাড়াও সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে যারা নগরীতে যানবাহন চালিয়েছে তাদের জরিমানা করেছে ট্রাফিক বিভাগ। তবে রংপুরবাসী এবারের লকডাউনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন বলেও জানান তিনি।
আগামীনিউজ/জনী