Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ওরা জীবনের জন্য কাজ চায়


আগামী নিউজ | হুমায়ুন কবির প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২১, ১২:২৩ পিএম ওরা জীবনের জন্য কাজ চায়

কুষ্টিয়াঃ পেটে ভাত নাই, রাত পোহালেই দিতে হবে কিস্তির টাকা। সন্তানের ৮ম শ্রেনীর রেজিস্ট্রেশন এর টাকা দিতে পারি নাই। নিজের দিনমজুরের কাজ করি। লকডাউন এর মাঝে পড়ে গেছি বেকায়দায়। গত দুই দিন বাড়িতে বসে থাকলেও আর পারছিনা ভাই। বাধ্য হয়েই বাড়ি থেকে ঝুড়ি কোদাল নিয়ে বের হয়েছি কাজের সন্ধানে।

বলছি দিনমজুর রেজাউলের কথা। কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের দিপচরে বসবাস। ৩ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে দিনমজুরের কাজ করেই চলে রেজাউলের সংসার ।

মহামারী করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে সরকার ঘোষিত লকডাউন এর কারণে কর্মবিভাগ হয়ে পড়েছিলেন দুইদিন বাড়িতে বাধ্য হয়ে বুধবার সকালে ঝুড়ি-কোদালে নিয়ে বাহির হয়েছেন কাজের সন্ধানে। তার মতো আরো দুইজন মনোয়ার ও হান্নান একই অবস্থা।

করোনা ভাইরাস বা স্বাস্থ্যবিধি এমনকি মাস্ক এ সব তাদের কাছে বড় কথা নয়। তাদের কাছে প্রতিদিনের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ব্যবস্থা ও কিস্তির টাকা ব্যবস্থা করাই বড় কথা তার জন্য দরকার একটি কাজ আর কাজের জন্যই বাহির হয়েছে ভোর থেকে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। অবশেষে গড়াই নদী পার হয়ে ৎপজেলা শহরের সামনের সড়ক দিয়ে হেটে চলছে কাজের সন্ধানে।

কথার এক পর্যায়ে বললেন শোমসপুর গ্রামে একজনের বাড়িতে ঘরের মাটি কাটার কাজ পেয়েছেন। পকেটে ভ্যানভাড়ার ১০ টা টাকা নাই তাই হেঁটেই রওনা হয়েছে।

করোনা মহামারীর কারণে রেজাউলের মতো সারা দেশে এরকম হাজারো মানুষ কর্মবিমুখ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। যারা সাহায্য চাই না, চাই শুধু একটু কাজ ও কাজের জায়গা। নিজের কর্ম নিজের হাতেই করে উপার্জন করে সংসার চালাবো। তবে সেই অবস্থাটা তৈরি হবে কবে সেটাই কর্মক্ষম মানুষের সংসয়।

আগামীনিউজ/জনী