Dr. Neem on Daraz
Victory Day

‘মেলায় বসে বই পাহারা দিচ্ছি’


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২১, ০৮:০২ পিএম ‘মেলায় বসে বই পাহারা দিচ্ছি’

ঢাকাঃ কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনেও অমর একুশে বইমেলা প্রাণহীন বলা যায়। লেখক-পাঠক-ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ছিল না কোনো আনাগোনা। অনেক বিক্রেতা সারাদিনে একটি বইও বিক্রি করতে পারেননি বলে তারা জানিয়েছেন। মেলায় দর্শনার্থী হিসেবে যাদের দেখা যায়, তারা আশপাশের লোকজন। কেউ ঘুরাফেরা বা সময় কাটানোর জন্য বইমেলায় এসেছেন। বইমেলার যে তাৎপর্য আজকের বইমেলায় সেটি আসলে কোনোভাবেই বোঝা যায়নি। বইমেলার চেনা রূপটি যেন হঠাৎ করেই অচেনা হয়ে গেছে সবার কাছে। মেলা নিয়ে আজও বিক্রেতাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, একদিকে বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৫টা বইমেলার সময়টাতে তীব্র গরম, অন্যদিকে গণপরিবহন নেই। মানুষ আসবে কীভাবে? এ মেলার কোনো অর্থই হয় না। তাই মেলায় বিক্রি তো দূরের কথা। পাঠকই আসছে না। এভাবে মেলার কোনো অর্থই হয় না। তারা মনে করেন, মেলা বন্ধ করে দেওয়াই উচিত।

বাতিঘর প্রকাশনীর স্টল ম্যানেজার আতিকুর রহমান বলেন, “প্রথমতো হচ্ছে ১২-৫টা— এ সময়টা ভীষণ রোদ থাকে। আর পাঠক আসেই ৫টার পরে। যখন পাঠকের আসার কথা, ওই সময়ই আমাদের মেলা শেষ হয়ে যায়। একদিকে তীব্র রোদ, অন্যদিকে গণপরিবহন বন্ধ। সবকিছু মিলে বইমেলা যে তাৎপর্য সেটি আসলে নাই বললেই চলে। আমি মনে করি, এই বইমেলা চলার চেয়ে না-চলাই ভালো।”

ছায়াবিথি প্রকাশনীর বিক্রেতা কানিজ রুবাইয়া হতাশার স্বরে বলেন, “সকাল থেকে আমরা বসে আছি, মাত্র একটা বই বিক্রি হয়েছে। এছাড়া কোনো বেচাকেনা নেই।”

অনিন্দ্য প্রকাশনীর স্টল ম্যানেজার মো. বজলুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলা না হলে এ মেলার কোনো অর্থ হয় না। আমরা এখন বই পাহারা দিচ্ছি।”

পারভীন নামে কালো প্রকাশনীর এক বিক্রেতা আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, “পাঠক আসেনও না, দেখেনও না। বই বিক্রি হবে কী করে? আসলে বেচাকেনা একেবারে নাই বললেই চলে। এটা নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত।”

এদিকে মেলায় আগত মো. নুরুজ্জামান নামে এক ক্রেতা বলেন, “মেলায় পাঠকরা আসার ইচ্ছে থাকলেও তারা আসতে পারছে না পরিবহনের ব্যবস্থা না থাকায়। এ ধরনের বইমেলায় এসে সত্যি আমার কাছে খারাপ লাগছে।”

মঙ্গলবার অমর একুশে বইমেলা শুরু হয় বেলা ১২ টায় এবং শেষ হয় বিকেলে ৫টায়।

মেলায় নতুন বই এসেছে ২৮টি। উপন্যাস ৪টি, প্রবন্ধ ১টি, কবিতা ৫টি, গবেষণা ২টি, জীবনী ২টি, রচনাবলি ১টি, মুক্তিযুদ্ধ ১টি, বিজ্ঞান ৩টি, ভ্রমণ ২টি, রম্য/ধাঁধা ১টি, ধর্মীয় ১টি, অনুবাদ ১টি ও অন্যান্য ৪টি বই।

আগামীনিউজ/নাসির