Dr. Neem on Daraz
Victory Day

নিঃসন্তান গৃহবধূদের সাথে চিকিৎসার নামে প্রতারণা


আগামী নিউজ | দেওয়ান পলাশ, দুপচাঁচিয়া ( বগুড়া)  প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৫:৪৯ পিএম আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৫:৫১ পিএম নিঃসন্তান গৃহবধূদের সাথে চিকিৎসার নামে প্রতারণা

বগুড়াঃ জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বড়নিলাহী গ্রামের মোছাঃ জান্নাতুন ( ৭০)  ও তার স্বামী সেকেন্দার আলী ( ৭৫)  দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজী  চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছিল। 

রোগীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন অনেক টাকা। রোগিদের কেউ তার কাছে চিকিৎসার ফলাফল ব্যাপারে অভিযোগ করলে চটকদারী কথায় খন্ডন করতেন ।

এবার কবিরাজী চিকিৎসার নামে প্রতারণা করলেন নিঃসন্তান গৃহবধূদের সাথে। গৃহবধূরা কবিরাজ দম্পতির চিকিৎসার নামে প্রতারণা প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট হতে থাকে। এ সংক্রান্তে কয়েকজন গৃহবধূ দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং থানা অফিসার ইনচার্জের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কবিরাজ দম্পতির বাড়িতে পুলিশ যায় এবং তারা চিকিৎসা দেওয়ার ঘরসহ  বাড়ীটির প্রতিটি ঘর তালাবন্ধ অবস্থায় দেখতে পায়।

অভিযোগকারী গৃহবধূ জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার আইমাপুর গ্রামের জাহাংগীর আলমের স্ত্রী মৌসুমি বেগম ( ৩০) সহ প্রতারিত গৃহবধূরা জানান, তারা  সন্তান লাভের আশায় লোকমুখে শুনে কবিরাজ দম্পতির কাছে আসেন। কবিরাজ দম্পতি তাদের তাদের পাউডার জাতীয় ঔষধ গুলিয়ে খেতে দেন। কিছুদিন পর পেট ফুলে গর্ভবতির মত হলে  আবারও কবিরাজের নিকট যায়। কবিরাজ তাদের পেটে বাচ্চা আসছে বলে আশ্বস্ত করে চিকিৎসা বাবদ প্রত্যেকের নিকট হতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

পরে গৃহবধূরা অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য গাইনি বিশেষজ্ঞের নিকট গেলে গাইনি বিশেষজ্ঞ জানায়,তাদের পেটে কোন বাচ্চা নেই। কবিরাজ এইচটিসি জাতীয় হরমোন খেতে দিয়ে  পেট ফুলে তোলার ব্যবস্থা করেছে মাত্র।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনারুল হক তালুকদার জানায়, গ্রামের লোকজন ওই কবিরাজ দম্পতির চিকিৎসা বিশ্বাস না করলেও সন্তান লাভের আশায়  দুরাদুরান্ত থেকে অনেক গৃহবধূ স্বামীসহ  চিকিৎসা নিতে আসত।

দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আলী জানান, নিঃসন্তান হওয়ার যন্ত্রনা থেকে রক্ষা পেতে চিকিৎসা নেয়া গৃহবধূদের সাথে এরকম প্রতারণা দুঃখজনক। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবসথা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

আগামীনিউজ/সোহেল