Dr. Neem on Daraz
Victory Day

করোনার চেয়েও ভয়াবহ হবে জলবায়ু পরিবর্তন


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১, ০২:০৩ পিএম করোনার চেয়েও ভয়াবহ হবে জলবায়ু পরিবর্তন

ঢাকাঃ জলবায়ু পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই শতাব্দির মাঝামাঝি প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার ফলে এক বছরে যত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ প্রতিবছর এর চেয়ে বেশি মানুষ মারা যাবে।

ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক ক্যানরি বলেন, অর্থনীতির গতি সচল রাখতে গিয়ে পরিবেশ ধ্বংসে কাজ না করে কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচাতে কাজ করা উচিত।

উল্লেখ্য, মার্ক ক্যানরি প্রথমে ব্যাংক অব কানাডার প্রধান ছিলেন। এরপর ২০২০ সাল পর্যন্ত পালন করেছেন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নরের দায়িত্ব। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘের ক্লাইমেট অ্যাকশন অ্যান্ড ফিন্যান্সের দূত হিসেবে কাজ করছেন।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেন, করোনা মহামারি আর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি এখন সমান্তরাল গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু জলবায়ু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার কোনও সুযোগ নেই, সুতরাং এর পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি থেকে নিজের দায়িত্ব এড়ানোর উপায়ও নেই।

এক আলোচনায় তিনি বলেন, জলবাযু পরিবর্তনের বিষয়টি যখনই মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেখা হবে, তখনই স্পষ্ট হবে, করোনার কারণে এক বছরে যত মানুষ মারা গেছে, এই শতাব্দীর মাঝামাঝিতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছর তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যাবে।

বিভিন্ন দেশের সরকার করোনা পরবর্তী বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণ রোধে ব্যয়টা নিতান্তই নগণ্য। গত বছর কাকতালীয়ভাবে কার্বন নিঃসরণ কম ছিল, কারণ মানুষের ভ্রমণের সুযোগ ছিল না। অথচ এই ক্রান্তিকালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি আর পরিবেশবান্ধব অবকাঠামোতে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করা উচিত।

তিনি বলেন, আগামী ৩ দশকে প্রতি বছর সাড়ে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার পরিবেশ সুরক্ষার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে হবে।

বেসরকারিভাবে বিনিয়োগের জন্য সারাবিশ্বে ১৭০ ট্রিলিয়ন ডলার রয়েছে। ব্যাংক, বিনিয়োগ তহবিল আর ব্যক্তিবিশেষে, সবারই প্রশ্ন, বিনিয়োগ কোথায় করলে সেই বিনিয়োগ লাভজনক এবং স্থিতিশীল কোনও কাজে আসবে।

যুক্তরাষ্ট্র আবারও ফিরেছে জলবায়ু পরিবর্তনরোধের যুদ্ধে। এদিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ পরিবেশ দূষণকারী দেশ চীন বলছে, ২০৬০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শূন্যে আনবে তারা। এদিকে তারা কয়লাভিত্তিক বৈদ্যুতিক প্ল্যান্ট তৈরি অব্যাহত রেখেছে, যেগুলোতে ৭০ শতাংশই ব্যবহার করা হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি।

মার্ক কেনরি বলেন, চীন যত দ্রুত কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসবে, সারাবিশ্বের জন্য তা ফলপ্রসূ হবে। অপরদিকে বৃহত্তম আর্থিক খাতকে চাঙা রাখার পাশাপাশি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের।

আগামীনিউজ/এএইচ