Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বেড়েলা 


আগামী নিউজ | ড. নিম হাকিম প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১, ০৫:০৬ পিএম বেড়েলা 

পরিচিতঃ ( Botanical Name: Sida cordifolia L., Common Name: Berela, English Name: Country mallow, Family: Malvaceae)

বেড়েলা বর্ষজীবী ঝোপজাতীয় গাছ। সাধারণত পতিত জমিতে জন্মে। গাছ প্রায় ৪ ফুটের কাছাকাছি উঁচু হতে দেখা যায়। বর্ষার প্রারম্ভে গাছ হয়, মে জুন মাস থেকে ফুল উৎপন্ন হতে শুরু করে। পাতা ৪-৬ সেমি লম্বা, হৃদপিন্ডাকৃতির অগ্রভাগ ক্রমশ সরু ও লোমযুক্ত। ডাঁটা পাতার সমান লম্বা। ফুল ছোট, প্রজাতি ভেদে হলদে বা সাদা হতে পারে। সাদা ফুলের গাছ যেখানে সেখানে পাওয়া যায় না, যত্ন করে লাগাতে হয়। অন্য প্রজাতির পাতার কিনারা করাতের মতো কাটা। গাছ ২ মিটারের মতো লম্বা হয়। পতিত জমিতে ও জঙ্গলের ধারে জন্মে।

চাষাবাদঃ মার্চে বীজ পেকে পড়ে যায়। সেখান থেকে নতুন চারা গজায়।

উপযোগী মাটিঃ সব ধরেনের মাটিতে বেড়েলা জন্মে থাকে।

প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণঃ লক্ষাধিক।

বীজ আহরণের সময়ঃ মার্চ।

ব্যবহার্য অংশঃ সাধারণতঃ কাঁচা ও শুকনো অবস্থায় বেড়েলার মূল ব্যবহৃত হয়।

প্রক্রিয়াজাতকরণ/সংরক্ষণঃ বীজ সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে কিছুদিন সংরক্ষণ করা যায়।

উপকারিতা/লোকজ ব্যবহারঃ বেড়েলা মূলের রস উরুর ক্ষতে, শুক্রতারল্যে ও স্বরভঙ্গে বিশেষ উপকারি। মূলের ছালচূর্ণ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে হৃদযন্ত্রের ধড়ফড়ানি থাকে না বলে প্রকাশ। মূলের ছাল ভালভাবে সিদ্ধ করে পানিসহ খেলে প্রসাব সহজ হয়। বেড়েলা অত্যন্ত ভিটামিনযুক্ত গাছ এবং বাত ব্যাধিতে খুব উপকারি।

কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ 

• হৃদপিন্ডের ধড়ফড়ানিতে এর মূলের ছালচূর্ণ পরিমাণমত দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

• প্রসাবের জটিলতায় মূলের ছাল ভালভাবে সিদ্ধ করে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে উপকারি।

অন্যান্য ব্যবহারঃ অধুনা বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা এর বহুমূখী সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ ছয় মাস।

আয়ঃ প্রতি একর জমিতে বছরে ৩০,০০০ টাকা থেকে ৪০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।

আগামীনিউজ/নাসির