Dr. Neem on Daraz
Victory Day

শঠী


আগামী নিউজ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২১, ০৭:০৮ পিএম আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২১, ০৭:১১ পিএম শঠী

পরিচিতিঃ ( Botanical Name: Curcuma zeodoaria Rose, Common Name: Shathi, English Name: Zedoary, Family: Zingiberaceae)

শঠী গাছ অনেকটা হুলুদ গাছের মত কন্দ জাতীয় এবং পাতা হলুদ পাতার মত ২ ফুট পর্যন্ত লম্বা।পুষ্পদন্ড ১ ফুট লম্বা এবং মাথার চারিদিকে ২ থেকে ৩ বর্ণের মিশ্রিত ফুল হয়। কন্দ গোলাকার, লম্বাটে এবং বাঁকা বাঁকা, অনেকটা আদার মত চারিদিকে মুখী বের হয়। এপ্রিলে-মে মাসে ফুল ও পরে ফল হয়। এর পাতা প্রায় ৪০ সে.মি. লম্বা, বৃন্তদেশ সরু। পুষ্পদন্ড ১৫ সে.মি. বা ততোধিক লম্বা হতে পারে। ফুল পীত, শ্বেত ও বেগুনী রুংয়ের মিশ্রন হয়ে থাকে। বীজকোষ ডিম্বাকৃতি ও মসৃণ। বীজ লম্বাকৃতি শ্বেতবর্ণ। মে মাসে ফুল ও পরে ফল হয়।

প্রাপ্তিস্থানঃ শঠী বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আপনা আপনি জন্মে।

চাষাবাদঃ সাধারণতঃ কন্দের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে।

লাগানোর দূরত্বঃ দেড় থেকে ২ ফুট ।

উপযোগী মাটিঃ বেলে বা দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়।

বীজ আহরণঃ কন্দের মাধ্যমে শঠীর বংশ বিস্তার হয়। মার্চ- এপ্রিলে মাসে কন্দ সংগ্রহ করতে হয়।

প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণঃ শঠী ৫০ থেকে ৬০ পিস।

প্রক্রিয়াজাতকরণ/সংরক্ষণঃ গাছ শুকিয়ে গেলে মাটির নীচ থেকে কন্দ সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে তা সংরক্ষণ করা হয়।

ব্যবহার্য অংশঃ কন্দ

উপকারিতা/লোকজ ব্যবহারঃ শঠী পাকস্থলী, যকৃত, হৃদপিন্ড ও যৌনশক্তি বর্ধক। হজমকারক, বায়ু নিঃসারক, প্রতিবন্ধকতা অপসারক এবং মুত্র ও হায়েজ প্রবাহক। বলগম বহিষ্কার এবং শীতলজনিত কাশি নাশক। প্রদাহ নিবারক এবং ব্যথায় উপকারি। তাছাড়া কন্দ প্রসাবকারক, সুগন্ধি ও উত্তেজক বলে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে।

কোন কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ

  • এর ক্বাথ শ্বাসকাশে উপকারি
  • কাশি ও কফ নিঃসারনের জন্য শুকনো শঠীকন্দ টুকরো আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেলে উপকার হয়।
  • সন্তান প্রসবের পর দৌর্বল্য দূর করার জন্য অন্য কয়েকটি বলকারক দব্যের সাথে শঠী মিশিয়ে খাওয়া ভাল।
  • গায়ক-গায়িকারা গলা পরিষ্কার রাখার জন্য বিশেষত যেখানে প্রায়ই গলা খুসখুস করে সেসব ক্ষেত্রে শুকনো শঠীর কন্দ চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ মে মাসে ফুল ও পরে ফল হয়।

অন্যান্য ব্যবহারঃ এর কন্দ পানিতে চটকে থিতিয়ে জমাকৃত শ্বেতসারকে শটীর পালো বলা হয়। প্রাচীনকালে শটীর কন্দ থেকে আবির তৈরি হতো। শঠীর কন্দ ঔষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়।

আয়ঃ প্রতি একর জমিতে বার্ষিক ৩০,০০০ টাকা থেকে ৩৫,০০০ টাকা।

আগামীনিউজ/নাসির