Dr. Neem on Daraz
Victory Day

অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 


আগামী নিউজ | জিকরুল হক, উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২১, ১১:০৭ পিএম অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

নীলফামারীঃ জেলার সৈয়দপুরে তৈয়্যবিয়া জামে মসজিদ নির্মানে বাধা প্রদান ও অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। শহরের ইসলামবাগ কাদেরীয়া তাহেরিয়া সাবেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার হলরুমে ওই সংবাদ সম্মেলন হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য বলেন নীলফামারী জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী ও প্রতিষ্ঠানের সহ সভাপতি এ্যডভোকেট হাসনেন ইমাম সোহেল।

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন মেজর হাবিবের মালিকানাধীন কয়া মৌজার ৭ খতিয়ানভূক্ত এস.এ ৩০৬৫, বি.এস ৬৪২, এস,এ ৬৭৬৮, ডিপি/বিএস ১২৮১৭, ১২৮১৮, ১২৮১৯, ১২৮২০, ১২৮৮১ দাগে ৭৫ শতক এবং এস,এ ৩৩০১, বি,এস ১১৭৭, এস,এ ৬৭৭০, ডিপি/বিএস ১২৮২৪ দাগে ৫৭ শতক মোট ১৩২ শতক জমি আব্দুর রউফ, শাহেদ আলী, আরমান হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সৈয়দপুরের কাদেরিয়া তাহেরিয়া সাবেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার পক্ষে চট্টগ্রামের আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট যৌথভাবে কিনতে মৌখিকভাবে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এই ৫ নামেই বায়নামা রেজিস্ট্রি দলিলও সম্পাদন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চতুর আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৬ সালের ২৩ জুন বায়নামা দলিল রেজিস্ট্রি করার সময় কুমতলবে ট্রাস্টের নাম বাদ দিয়ে ব্যক্তি চার জনের নামে বায়নামা দলিল সম্পাদন করেন। তবে জমি ক্রয়ের পূর্বে চারজন মিলে ৭৫ শতক জমি কাদেরিয়া তাহেরিয়া সাবেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা কমপ্লেক্সকে দান করবেন বলে একে অপরের সঙ্গে আল্লাহর নামে মৌখিক চুক্তি সম্পাদন করেন। কিন্তু মেজর হাফিজ কাগজ কলমে জমির মালিক হলেও দখলে ছিলেন অন্য ব্যক্তি। দখলদারকে সামান্য অর্থের বিনিময়ে বিদায় দেয়া হলে জমির পুরো দখল নেন ওই চার ব্যক্তিসহ মাদ্রসা কর্তৃপক্ষ। এরই প্রেক্ষিতে বায়নাকৃত জমিতে ২০১৮ সালে মাদ্রাসা নির্মাণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ২০০ শিক্ষার্থী ও ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। বায়নাকৃত জমির ৭৫ শতক জমিও মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের বরাবরে ছেড়ে দিয়ে দখল হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে জমির মালিক সঠিক সময়ে জমি রেজিস্ট্রি না  দেওয়ায় পাঁচজন বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর অন্য ৯/১৭। কিন্তু ব্যক্তি ৪ অংশিদারের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন মাদ্রাসার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় ১৩২ শতক জমির মধ্যে ১০২ শতক জমি তার নিজের বলে দাবী করে মাদ্রাসার মসজিদ নির্মানে বাধা সৃষ্টি করছেন। একই সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে মাদ্রাসা ও অন্য অংশিদারদের নামে বদনাম রটিয়েছেন। এমনকি বায়নাপত্রেও কার কত জমির অংশ বা কে কত অর্থ দিয়েছে তা কিন্তু উল্লেখ নাই। অন্যান্য অংশিদার ও মাদ্রাসাকে ঠকাতে এমন অপপ্রচার আব্দুল্লাহ আল মামুন করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় ধর্মীয় এই প্রতিষ্ঠান কারো কোন জমি দখল করে নাই। জনগনের সাহায্যের টাকায় জমি কিনে প্রতিষ্ঠান নির্মান করা হয়েছে। আর মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের ৭৫ শতক যায়গার মধ্যেই মসজিদও নির্মাণ করা হচ্ছে। সেই জন্য আব্দুল্লাহ আল মামুনের আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।

অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আলী, সহ সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. নাসিম, মাদ্রাসা সুপার রিজওয়ান আহমেদ ও সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের আহবায়ক হাজী মকসুদ আলম। 

আগামীনিউজ/এএইচ