Dr. Neem on Daraz
Victory Day

রক্ত চন্দন


আগামী নিউজ | ড. নিম হাকিম প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২১, ০৫:৪৭ পিএম আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২১, ০৫:৪৮ পিএম রক্ত চন্দন

পরিচিতিঃ (Botanical Name: Pterocarpus santalinus Linn, Common Name: Rakto Chandon, English Name: Red Sandal, Family: Leguminosae)

রক্ত চন্দন চিরসবুজ পত্রাচ্ছাদিত বৃক্ষ । গাছ প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট লম্বা হয় । গাছের ছাল প্রায় কালো আভাযুক্ত ধূসর বর্ণের । কাঠ শক্ত, বাহ্যিকভাবে সাদা এবং ভিতরে রক্তবর্ণ। পাতার মাথা কিছুটা চাপা ও চামড়ার ন্যায় শক্ত এবং উভয় দিক গোলাকার এবং নীচের দিকে মসৃণ অস্পষ্ট লোমযুক্ত । পুস্পদন্ড লম্বা এবং চারিদিক ফুল হয়। গ্রীষ্মকালে ফুল ও ফল হয় ।

চন্দনগাছ

প্রাপ্তিস্থানঃ সিলেটে, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে দেখা যায় ।

চাষাবাদঃ বীজ থেকে বংশ বিস্তার হয় ।

লাগানোর দুরত্ত্বঃ ১৮ থেকে ২৭ ফুট ।

উপযোগী মাটিঃ বেলে বা দোআঁশ মাটিতে ভালো হয় ।

প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণঃ প্রায় ৫ হাজার ।

বীজ আহরণের সময়ঃ অক্টোবর-নভেম্বর ।

প্রক্রিয়াজাতকরণ/সংরক্ষণঃ বীজ সংগ্রহ করে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে ৬ মাস পর্যন্ত বীজ সংরক্ষণ করা যায়।

ব্যবহার্য অংশঃ কাঠ ও কাঠের সারাংশ এবং তেল ব্যবহার হয় ।

উপকারিতা/লোকজ ব্যবহারঃ রক্তচন্দন হৃদরোগে বিশেষ কার্যকারী । রকচন্দন ক্রিয়া প্রায় শ্বেতচন্দনের মতো। শান্তিদায়ক, প্রত্যাবর্তক ও শীতলকারক । রক্ত পরিষ্কারক, বর্ণ প্রসাদক, উষ্ণতা প্রশমক, ফোলা ও প্রদাহ নিবারক। হৃদকম্প নাশক, যৌনশক্তি বর্ধক, বলকারক ও আমাশয়ে উপকারি।

চন্দনফুল

কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ

  • রক্তচন্দন অত্যন্ত শীতবীর্য সমন্বিত, গুরু, চক্ষুর হিতকারক, তিক্ত মধুর রসযুক্ত এবং বর্ণকারক ।
  • জ্বর, তৃষ্ণা, পিত্তজ কাশ, দাহ, কৃমি, বাত, রক্তদোষ, ব্রণ, বমন, রক্তপিত্ত, পিত্ত ও চক্ষুরোগ নিবারক ।
  • রক্তচন্দন ঘষে চোখের বাইরে চোখের পাতায় প্রলেপ দিলে প্রভুত উপকার পাওয়া যায় ।
  • প্রসাবে জ্বালা-পোড়া বন্ধ করে এবং মাথা ব্যথা ও চোখের রোগে উপকারী ।
  • ৪/৫ মিলিগ্রাম পরিমাণ আদা, চন্দন-ঘষা, তন্ডুলোদক, বিহিদানা ভিজান পানি মিশিয়ে মধু সহ খেলে প্রমেহ নিবারিত হয় ।
  • গরমী ঘা ও গ্যাঙ্গারিন এবং পচা ক্ষতে চন্দন কাঠের গুড়া খুবই উপকারি ।
চন্দনকাঠ

পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ সাধারণত ১৫-২০ বছরে পরিপক্ক হয় ।

অন্যান্য ব্যবহারঃ হিন্দু ধর্মে পূজা অর্চনায় চন্দনের ফোটা দেয়া খুবই পবিত্র বলে মানা হয় ।এছাড়াও সুগন্ধি ও রং তৈরিতে চন্দন ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।

আয়ঃ প্রতি একর জমিতে বার্ষিক আয় ৮০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা ।

আগামীনিউজ/নাসির