Dr. Neem on Daraz
Victory Day

আরও সহজ হচ্ছে এনআইডি সেবা


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২১, ০১:২১ পিএম আরও সহজ হচ্ছে এনআইডি সেবা

ঢাকাঃ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন বাতিল হয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে আপিলের বিষয়ে নীতিমালা করার উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতদিন শুধু কমিশনে আপিল আবেদন করা যেত। এখন মাঠপর্যায়েও কীভাবে আপিল করা যায়, কোন ধরনের আপিল কার কাছে করতে হবে, কীভাবে আবেদন করতে হবে- সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করা হবে। এ জন্য খসড়া নীতিমালায় মাঠপর্যায়ে মতামত চেয়ে চিঠি দেওয়ার উদ্যোগও নিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি এনআইডি সেবা সংক্রান্ত এক জুম মিটিংয়ের কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ৯ ডিসেম্বর এ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। যার কার্যপত্র প্রকাশ করা হয় ৩ জানুয়ারি।

সূত্র জানায়, ওই মিটিংয়ে সংশোধন আবেদন বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপিল পদ্ধতি ও আপিল নিষ্পত্তি সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। সেখানে বেশকিছু প্রস্তাবনাও পেশ করা হয়। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- এনআইডি ও সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত (সংশোধন, যাচাই ও সরবরাহ) প্রবিধানমালা, ২০১৪ এর ৪(৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংশোধন আবেদন বাতিল আদেশের পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপিল আবেদন করতে হবে; এনআইডি ও সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত (সংশোধন, যাচাই ও সরবরাহ) প্রবিধানমালা, ২০১৪ এর ৪(৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংশোধন আবেদন বাতিল আদেশের আবেদনের পরবর্তী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন; আপিল আবেদনকারী নিজ অথবা আইনানুগ অভিভাবক ১১৫ টাকা কোর্ট ফি দিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে সংশোধন আবেদন বাতিল আদেশের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করে সংশোধনের আবেদন বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করবেন ইত্যাদি।

আলোচনা করে পরবর্তীতে ওই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়, খসড়া নীতিমালায় মতামত/সুপারিশ দিতে মাঠপর্যায়ে চিঠি দিয়ে আহ্বান করা হবে এবং মাঠপর্যায় থেকে প্রাপ্ত মতামত/সুপারিশের আলোকে খসড়া নীতিমালা পরিমার্জন করে পরবর্তী সভায় পুনরায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন বলেন, এটি একটি প্রাথমিক আলোচনা। কারও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন বাতিল হয়ে গেলে এতদিন শুধু কমিশনে সেই বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যেত। নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভাণ্ডারে কমবেশি ১১ কোটি ভোটার রয়েছে। কমিশন শুধু এই কাজ করলে তারা অন্য কাজ করতেই পারবে না। তাই এ কাজ সহজ করার জন্য মাঠপর্যায়েও ভাগ করে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এখন কোনো আবেদন বাতিল হলে তারা কার কাছে ওই বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন, কীভাবে আবেদন করবেন, বাতিল হওয়া আবেদনের সার্টিফাইড কপির ফি কত নেওয়া হবে, সেসব বিষয় আলোচনা করা হচ্ছে। এ কাজ সহজ করার জন্য এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছে। এটি খুবই প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।

২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও এনআইডি সংক্রান্ত সব সেবা ফ্রি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রাথমিকভাবে ভোটার নিবন্ধন ও প্রথমবার ফ্রিতে এনআইডি দিলেও ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে এনআইডি সংশোধন করতে, এনআইডি নষ্ট হলে পুনরায় তুলতে বা হারানো এনআইডি সেবা নিতে হলে নাগরিকদের ফি দিতে হচ্ছে।

আগামীনিউজ/এএইচ