Dr. Neem on Daraz
Victory Day
হবিগঞ্জে

করোনাকালীন বেতন ও ফি আদায় নিয়ে অভিভাবকদের তীব্র ক্ষোভ


আগামী নিউজ | মোহাম্মদ শাহ আলম, জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২০, ০৯:৫৯ পিএম করোনাকালীন বেতন ও ফি আদায় নিয়ে অভিভাবকদের তীব্র ক্ষোভ

হবিগঞ্জঃ করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকলেও বকেয়া বেতন ও পরীক্ষার ফি’র জন্য অভিভাবকদের উপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে হবিগঞ্জ দুই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর।

বকেয়া বেতন না দিলে আসন্ন বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র দেওয়া হলেও জমা রাখা হবে না বলে স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন অভিভাবক মহল।

এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।

করোনাকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষা ফি (টিউশন ফি) আদায়ে চাপ না দিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই সময়েও শিক্ষা ফি আদায় করছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

উল্লেখ্য গত ২৫ শে মার্চ থেকে সারা দেশ ব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এ পরিস্থিতিতে একদিকে লেখাপড়ার যেমন ক্ষতি সাধন হয় অন্যদিকে আর্থিক সংকটে পড়েন সাধারণ মানুষ। এ জন্য বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী ফি আদায়ে চাপ না দিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি এ  আদেশ অমান্য করে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল তরফ উচ্চ বিদ্যালয় ও লোকড়া ইউনিয়নের আশেরা উচ্চ বিদ্যালয় বিভিন্ন কৌশলে বেতন ও পরীক্ষা ফি আদায় করছে। এতে করে বেতন ও ফি দিতে না পরে অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া থেকে ঝড়ে যাওয়ার  সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।

তরফ উচ্চ বিদ্যালয় ও আশেরা উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবকরা এ প্রতিনিধিকে জানান, স্কুলের কর্তৃপক্ষ আমাদের ছেলে মেয়েদেরকে পরীক্ষার পেপার জমা রাখবেনা যদি বেতন ও ফি না দেয়া হয় এ ভয়ে আমরা সুদে  টাকা এনে দিতে বাধ্য হয়েছি।

এ ব্যপারে আসেরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিক উল্লাহ বলেন, গরীব শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে আবেদন করলে কোনো পরীক্ষার ফি বা বেতন নেওয়া হয়না। যে যত টাকা দেয় আমরা তা গ্রহণ করি। আর স্বচ্ছ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরো টাকা আদায় করা হয়।আর যদি বেতন ফি আদায় না করি স্কুলের শিক্ষকরা চলবে কি ভাবে।এ ব্যাপারে তরফ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চাপ দিয়ে কোন বেতন ফি আদায় করা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রুহুল্লাহ জানান, মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে, যাতে এই সময়ে বেতন বা ফি নেয়া না হয়।যদি কেউ নেয় তাহলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আগামীনিউজ/মিথুন