Dr. Neem on Daraz
Victory Day

এস আই আকবরের দেশত্যাগরোধে সীমান্তে সতর্কতা


আগামী নিউজ | রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২০, ১০:৩৮ এএম আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২০, ১০:৪১ এএম এস আই আকবরের দেশত্যাগরোধে সীমান্তে সতর্কতা

যশোর: সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান হত্যায় অভিযুক্ত এস আই আকবরের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্তে সতর্কতা জারী করা হয়েছে।

গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্তে বাড়তি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সীমান্তে কর্তব্যরত পুলিশ ও বিজিবি কর্মকর্তারা।

জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এ পথে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ জন্য দেশের অন্যান্য সীমান্তের পাশাপাশি বেনাপোল সীমান্তের ইমিগ্রেশন পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বিজিবি সতর্কতা অবলম্বন করেছেন।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান, এসআই আকবারের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারি করে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে একটি বার্তা এসেছে। কোনো কৌশল অবলম্বন করে সে যেন ভারতে পালাতে না পারে, তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বেনাপোল কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মিজানুর রহমান জানান, তারা সব ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সতর্ক থেকে কাজ করছেন। আর এ ধরনের খবর পেয়ে সীমান্তে কর্তব্যরতদের আরও সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেনাপোল  স্থলবন্দর দিয়ে মেডিকেলসহ কয়েক প্রকার ভিসায় বাংলাদেশিরা ভারত প্রবেশ করছে  এবং ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা দেশে  ফিরছেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার মধ্যরাতে সিলেট কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্ত ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া রায়হান নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রেখে চাঁদার দাবীতে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করে তাঁর পরিবার। পরের দিন সকালে তিনি মারা যান। নির্যাতনের সময় এক পুলিশের মুঠোফোন থেকে রায়হানের পরিবারের কাছে কল করে টাকা চাওয়া হয়।

পরিবারের সদস্যরা সকালে  ফাঁড়ি থেকে পরে হাসপাতালে গিয়ে রায়হানের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনার শুরুতে ওই ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ছিনতাইকারী সন্দেহে নগরের কাস্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হয়েছেন বলে প্রচার চালায়। কিন্তু গণপিটুনির স্থান হিসেবে যেখানকার কথা বলেছিল পুলিশ, সেখানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্থাপন করা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় এমন কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি। এতে সন্দেহ হয় পুলিশের নির্যাতনের প্রতি। এ ঘটনার পর থেকে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া পালিয়ে যায়। তাকে ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

আগামীনিউজ/মিথুন