ঢাকা: সারা দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ, অন্যদিকে বর্ষা ও বন্যার কারণে কর্মহীন নিম্ন মধ্য আয়ের অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষ। যেখানে বেঁচে থাকাই আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ আতংকের মধ্যেও ঋণদানকারী সংস্থা, এনজিও এবং দাদন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব থেমে নেই। ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটাছে ঋণ নিয়ে চলা সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, খামারি তথা ঋণ গ্রহণকারী সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তি পরিশোধ না করা উদ্যোক্তারা আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় পাবেন।
এমআরএর প্রজ্ঞাপণে বলা হয়েছে, করোনার কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের উপর করোনার প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, এই সংকটকালে ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতাদের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না।
প্রশিকা ও ব্র্যাকের এসএমই বিভাগ সূত্র জানায়, তারা তাদের বিভিন্ন স্থানীয় অফিসে এ ধরণের নির্দেশনা দিয়েছেন। যাতে করে কারো কাছ থেকে ঋণের কিস্তি আদায় করা না হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, যেখান মানুষ করোনা এবং নতুন করে বন্যা আতংকে ঘরে বসে আছে। সেখান হতদরিদ্রদের পক্ষে কিস্তি পরিশোধের সুযোগ নিতান্তই কম। এ জন্যই বন্ধ রাখা হয়েছে।
তারা বলেন, বড় এনজিও গুলো এ সময়ে মাঠে কম। কিছু ভু্ঁই ফোর বা নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যাদের মধ্যে না আছে নীতি নৈতিকতা, না আছে মনবিকতা। এসব প্রতিষ্ঠান কিস্তি আদায়ে ঋণ নেওয়াদের চাপ দিচ্ছেন।
যারা দুর্যোগের সময়েও লাভের বা মুনাফার জন্য সাধারণ মানুষকে নাজেহাল করছে তাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের শহরাঞ্চলে কিস্তি আদায় বন্ধ রাখা হলেও বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা এবং উপকূলীয় এলাকায় কিস্তি আদায় হচ্ছে বলে জানাগেছে।
আগামীনিউজ/টিআইএস/এমআর