Dr. Neem on Daraz
Victory Day

হাঁস ফিরিয়ে দিয়েছে হাসি


আগামী নিউজ | হবিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২০, ১০:৫৮ এএম হাঁস ফিরিয়ে দিয়েছে হাসি

হবিগঞ্জ: এক সময় বেকার ছিলেন। হাঁস পালন করে এখন স্বাবলম্বী। তার ছোট খামার থেকে বছরে এখন লাখ টাকার মতো আয় হয়। বলছিলাম হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের বাসিন্দা সুজন মিয়ার কথা।

সুজনের মতো এখন অনেক যুবক হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। মূলত হবিগঞ্জে ভাটি অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি বানিয়াচঙ্গ, আজমিরীগঞ্জ, লাখাই, নবীগঞ্জ উপজেলার হাওরাঞ্চলের মানুষের বছরে আট মাস তেমন কাজ থাকে না। তারা শুধু বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল। বিকল্প পেশা হিসেবে তারা হাঁস পালনে ঝুঁকেছেন।

বোরা ধান সংগ্রহের পর হাওরের শামুক খেয়ে হাঁসগুলো বড় হয়। আলাদা করে খাদ্য দেওয়া লাগে না। হাঁসের খামারিরা চৈত্র-বৈশাখ মাসে বাচ্চা সংগ্রহ করেন। ৫০০ থেকে ৪ হাজার হাঁস নিয়ে একটি পাল বা খামার গড়ে ওঠে। এক হাজার হাঁস খামারে থাকলে প্রতিদিন ৯০০ ডিম পাওয়া যায়। একটি হাঁস চার বছর পর্যন্ত ডিম দেয়। একটি ডিম ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হয়।

স্থানীয় এক যুবক জানায়, ৫০০ হাঁসের একটি খামার থাকলে একজন খামারি মাসে ১৪/১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারে। 

বাহুবল উপজেলার অলুয়া গ্রামের বাসিন্দা আবিদ আলী। এক যুগ ধরে হাঁসের খামার করছেন। খুব অল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করেছিলেন। এখন তার খামারে ২ হাজার ৫০০ হাঁস রয়েছে। তার খামার থেকে তিনি বছরে ৭/৮ লাখ টাকা আয় করেন। তবে প্রতিবছর এই পরিমাণ আয় করতে পারেন না। 

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, হাওর-বাঁওড়ের জেলা হবিগঞ্জে হাঁস পালনের জন্য প্রচুর প্রাকৃতিক খাবার পাওয়া যায়। এতে খামারিরা লাভবান হন।জেলায় ২১ হাজার খামারে ১১ লাখ হাঁস পালন করা হচ্ছে। 

আগামীনিউজ/এমআর