Dr. Neem on Daraz
Victory Day
১০ জেলায় নেয়া হচ্ছে ২০৮ কোটি টাকার প্রকল্প

খাবার প্লেটে আবারও মিলবে সুস্বাদু দেশীয় মাছ


আগামী নিউজ | তরিকুল ইসলাম সুমন প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২০, ০৩:৫৬ পিএম আপডেট: জুন ২৫, ২০২০, ০৪:৩৭ পিএম খাবার প্লেটে আবারও মিলবে সুস্বাদু দেশীয় মাছ

ঢাকা : ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে হারিয়ে যেতে বসেছে দেশীয় সুস্বাদু বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় এসব মাছের প্রজাতি ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিএফআরআই) এবং মৎস্য অধিদফতর। সরকারের এ দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য  জানা গেছে।

এ বিষয়ে মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক  ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ আগামীনিউজকে জানান, দেশীয় প্রজাতির মাছের বাণিজ্যিক ভিত্তিক চাষাবাদের জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রশিক্ষণ। আমরা এ কাজটিই করছি। বিশেষ করে হ্যাচারিমালিকদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি কীভাবে উন্নত মানের দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদন করা যায়। এখানেই শেষ নয়, আমরা দেশের ৫টি মৎস্য উপকেন্দ্র (রাঙামাটি,  কলাপাড়া, সৈয়দপুর, শান্তাহার এবং ময়মনসিংহ ) জায়গায় দেশীয় প্রজাতির মাছ নিয়ে গবেষণা চলছে। ইতোমধ্যেই  ২৩টি প্রজাতির গবেষণায় আমরা সফল হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কোনো একটি প্রজাতি নিয়ে গবেষণায় সফল হলে সেটি আমরা সিলেকটিভ কিছু চাষীদের মাধ্যমে ফিল্ড ট্রায়াল করিয়ে থাকি। এতে সন্তুষ্ট হলেই সেই প্রযুক্তি মৎস্য অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করি।

তিনি আরও বলেন, দেশীয় মাছের ২৩ প্রজাতির মধ্যে  ১৪-১৫টি প্রজাতির মাছ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বাকি মাছ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে গবেষণা চলছে।

তিনি বলেন, বিদেশি মাছ চাষের চেয়ে দেশি প্রজাতির মাছ চাষের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছেন চাষীরা। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমাদের প্লেটে থাকবে দেশীয় প্রজাতি সুস্বাদু মাছ।

মৎস্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. রমজান আলী আগামীনিউজকে বলেন, আমরা দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ সংরক্ষণের জন্য কাজ করছি।  আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভয়াশ্রম করছি। সেখানে মাছের ব্রিডিংয়ের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করারও কাজ করছি। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে  এজন্য উন্নয়নমূলক প্রকল্পও বাস্তাবয়ন করা হচ্ছে।

মৎস্য অধিদফতরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান আগামীনিউজকে বলেন, দেশের মানুষকে স্থানীয় প্রজাতির মাছের প্রাপ্যতা ও স্বাদ ফিরিয়ে দিতে কাজ করছি। পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতি যাতে আর বিলুপ্ত না হয়, সেজন্যও কাজ চলছে। বিভিন্ন সময়ে নানা প্রকল্পের মাধ্যমেও কাজ করা হয়েছে। নতুন করেও দেশি মাছ রক্ষায় একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে, যা পরিকল্পনা কমিশনে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়াও যারা দেশীয় মাছ চাষে আগ্রহী তাদের মাছের পোনা প্রাপ্তি সাপেক্ষে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে  প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

মৎস্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক (মৎস্য চাষ) মো. সিরাজুর রহমান আগামীনিউজকে জানান,  দেশীয় ছোট মাছ ও শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প নামে ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকার একটি প্রকল্প নেয়া  হয়েছে।  এ প্রকল্পটি গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, বরিশালসহ ১০ জেলায় বস্তাবয়ন করা হবে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি আনুমোদিত হবে।

আগামীনিউজ/তরিকুল/মনির