Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ঈদপণ্যের ক্রেতা কম তবু বেড়েছে দাম


আগামী নিউজ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২০, ০৪:২২ এএম ঈদপণ্যের ক্রেতা কম তবু বেড়েছে দাম

এবার ঈদপণ্যের চাহিদা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম হলেও দাম ঠিকই বেড়েছে। সবজি, মাছ-মাংস, সুগন্ধি আতপ চাল, ঘি, তেল, সেমাই, মসলাসহ কোনো কিছুর দামই নিম্নমুখী নয়। করোনার কারণে বাড়তে থাকা এসব পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে ঈদ ঘিরে।

বিক্রেতারা বলছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরে এমনিতেই গরুর মাংস, মুরগি, ইলিশ মাছ, চিংড়ি, সুগন্ধি চাল, ঘি, সেমাই, দুধ, গরম মসলা ইত্যাদির চাহিদা বাড়ে। এবার ঢাকায় চাহিদা আরো বেশি হওয়ার কথা। কারণ, বেশির ভাগ মানুষই গ্রামে যেতে পারেনি। সে তুলনায় বাজারে চাপ নেই বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। একই কথা বলছেন ক্রেতারাও। তবে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর এসব পণ্যের মধ্যে সবজি আর ব্রয়লার মুরগির দামে কিছুটা স্বস্তি ছিল। বাকি সব পণ্যের দাম ছিল নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে। ঈদ ঘিরে গতকাল শুক্রবার থেকে বেড়ে গেছে এ দুটি পণ্যের দামও।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবের পর এক দিনের ব্যবধানে সব ধরনর সবজির দাম বেড়েছে। তবে সব থেকে বেশি বেড়েছে গাজরের দাম। এক লাফে গাজরের কেজি ১০০ টাকায় উঠেছে। অন্যান্য সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-২০ টাকা। বাজারে শসার দাম বেড়ে কেজি ৫০-৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাকা টমেটোর দাম বেড়ে হয়েছে ৪০-৬০ টাকা। বেগুন আগের দিন বৃহস্পতিবারের  মতো ৬০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর দাম ওই দিন থেকেই বাড়ছিল। গতকাল বড় আকারের লেবুর হালি ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হয়েছে।

সবজির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী জহির কালের কণ্ঠকে বলেন, ঈদের আগে সাধারণত সবজির গাড়ি কম আসে। এ কারণে কিছু সবজির দাম বাড়ে। তবে এবার একটু বেশি বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। সবজিক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে বাজারে সবজি আসছে কম।

আর কয়েক দিন ধরে বাড়তে থাকা ব্রয়লার মুরগির দাম আরো বেড়ে ১৯০ টাকা ছুঁয়েছে। বাজারভেদে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা কেজি, যা আগের দিন ছিল ১৭০-১৮০ টাকা। ব্রয়লারের দাম বাড়লেও স্থিতিশীল আছে সোনালি ও লেয়ার মুরগির দাম। কেজিপ্রতি ২১০-২৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে এ দুই জাতের মুরগি।

গত বছর কেজি ৫২৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এবার গরুর মাংসের দাম ৬০০ টাকার ওপরে। অথচ বিক্রি কম বলছেন মুগদা বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ঈদের আগে গড়ে ১৫টা গরু বিক্রি হয় বাজারে। এবার পাঁচ-ছয়টা হচ্ছে।

বাজারে সুগন্ধি চালের দাম আগে থেকেই চড়া। খোলা চিনিগুঁড়া চাল প্রতি কেজির দাম ও মানভেদে ১০০-১১০ টাকা। প্যাকেট ১২০ টাকা। ঈদ ঘিরে বাজারে বসেছে আতপ চালের ভ্রাম্যমাণ দোকান। এসব দোকানে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাটারি জাতের আতপ চাল। মোটা আতপ চাল পাওয়া যাচ্ছে ৪০-৬০ টাকার মধ্যে।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেমাইয়ের প্রতি ২০০ গ্রামের প্যাকেট ৩৫ টাকা, ৪০০ গ্রাম ঘিয়ের কৌটা ৫০০-৫২০ টাকা।

আর মাস দুয়েক আগে ৬৫ টাকা বিক্রি হওয়া প্রতি লিটার তরল দুধ এখন ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রাণ-আরএফএলের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চাহিদা কিছুটা কম। এ কারণে উৎপাদনও কম।

বাজারে খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ৯০-৯৫ টাকা। ভালোমানের পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা লিটার দরে। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল ৮০-৯০ টাকা, ছোট দানার মসুর ডাল ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ।

আগামীনিউজ/বিজয়