Dr. Neem on Daraz
Victory Day
ঈদ উদযাপন সীমিত রাখার উদ্যোগ

অভিবাসীদের সাহায্যার্থে বাজার করছেন না ভারতের মুসলিমরা


আগামী নিউজ প্রকাশিত: মে ২২, ২০২০, ০৪:০২ পিএম অভিবাসীদের সাহায্যার্থে বাজার করছেন না ভারতের মুসলিমরা

এবারের ঈদুল ফিতরের সময় ভারতীয় মুসলিমদের জন্য দানের বিষয়টি বড় গুরুত্ব নিয়ে হাজির হয়েছে। অনেকেই তাদের ঈদের কেনাকাটা বন্ধ করে অন্যদের সাহায্যের জন্য অর্থ দান করেছেন। খবর  স্ট্রেইট টাইমস।

চলতি সপ্তাহে সোশাল মিডিয়ায় #ঈদফরমাইগ্রেন্টস হ্যাশট্যাগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অভিবাসীদেরকে সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়েছে যারা করোনাভাইরাসের কারণে বাড়িতে আটকাপড়ে আছে এবং বহু মিলিয়ন দিনমজুর যেখানে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। শ্রীনগরে গ্রেড ১১ ও ১২ শ্রেণীতে পড়ান সালমান শাহিদ। তিনি কাজের ফাঁকে ভিডিও ও পোস্টার তৈরি করে মুসলিমদেরকে ঘরের মধ্যে থাকতে এবং অভিবাসী শ্রমিকদেরকে সাহায্য করার আহ্বান জানাচ্ছেন।

তিনি বলেন, “আমার ফ্ল্যাটের সহবাসিন্দার সাথে মিলে ঈদ উদযাপন করবো আমি এবং বিরিয়ানির মতো বিশেষ কিছু একটা রান্না করবো”।

২৮ বছর বয়সী শাহিদ অভিবাসীদের জন্য সহায়তা দিয়েছেন। ঈদে ভিডিও কলে তিনি দিল্লীতে বাবা-মায়ের সাথে যুক্ত থাকবেন। লকডাউনের কারণে এ বছর ঈদে তাদের সাথে যোগ দিতে পারছেন না তিনি। এমন সময় অন্যকে সাহায্য করার এ আহ্বান আসলো যখন ভারতে ধর্মীয় সমাবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে। ওলামারাও সেখানে মুসলিমদেরকে ঘরের ভেতরে ঈদ উদযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন এবং কেনাকাটা এড়াতে এবং বন্ধু ও স্বজনদের সাথে দেখাসাক্ষাত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

পাকিস্তানে অবশ্য আলেমদের দাবির মুখে গত মাসে মসজিদ খুলে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানী সংবাদপত্র ডন জানিয়েছে যে, সিন্ধের প্রাদেশিক সরকার ঈদের নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছে তবে নীতিমালা মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ ধরনের সমাবেশ করতে হবে। পাকিস্তানে মল এবং মার্কেটগুলোও খুলে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে সরকার জনগণের প্রতি পরামর্শ দিয়েছে যাতে তারা খোলা মাঠে ঈদের নামাজ এড়িয়ে চলে এবং বাড়ির কাছের মসজিদে নামাজ পড়ে নেয়। তাছাড়া কতোজন মানুষ সেখানে জমায়েত হতে পারবে, তার উপরও বিধিনিষেধ রয়েছে। সফরের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও রাজধানী ঢাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ তাদের গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে রওনা দিয়েছেন। তবে ভারতে প্রত্যেক মুসলিম পরিবারের পক্ষে ঈদ উদযাপন করাটা সম্ভব হবে না।

দিল্লীর বাসিন্দা আরশাদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা ফেব্রুয়ারির হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। একটি ত্রাণ শিবিরে এক মাস থাকাকালে সেখানে তার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। ২৫ মার্চ তারা আবার বাড়িতে ফিরে যান, কারণ কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ক্যাম্প বন্ধ করে দেয়া হয়। বাড়ি ফিরে তারা দেখতে পান তাদের বাড়িঘর লুট করা হয়েছে।

আগামীনিউজ/বিজয়