Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সবজির ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না প্রাপ্তিক কৃষকরা 


আগামী নিউজ | কুষ্টিয়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৩, ২০২০, ১১:৫৫ এএম সবজির ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না প্রাপ্তিক কৃষকরা 

দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের বিরূপ প্রভাবে প্রান্তিক সবজি চাষিরা মারাত্বক ক্ষতির মুখে পড়ছে। উৎপাদিত পণ্যের প্রকৃত দাম কৃষকরা পাচ্ছেন না। তবে প্রান্তিক চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভবান হচ্ছেন পাইকাররা। 

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার অন্তর্গত বিত্তিপাড়া, লক্ষিপুর ও শেখপাড়া পাইকারী এ তিনটি সবজি বাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে আসে। এখানকার সাপ্তাহিক পাইকারি হাটে সরসরি ঢাকা থেকে আসেন ব্যাপারী এবং হাজার হাজার মণ বেগুন, শশাসহ কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য সবজি কিনে নিয়ে যান ঢাকার পাইকারি মোকামে।

জানা গেছে, কুষ্টিয়ার পাইকারী সবজি বাজারে দুশ থেকে আড়াইশ মণ বেগুন আসে। স্থানীয় আড়ৎদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এ সবজির একটি অংশ ক্রয় করেন। তবে সিংহভাগই চলে যায় ঢাকার কাওরান বাজারস্থ সবজি মোকামে। কুষ্টিয়ার এ পাইকারি বাজারে সর্বোচ্চ ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি বেগুন। অথচ সেই একই বেগুন কুষ্টিয়া বিভিন্ন শহরের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। 

পাইকারী বাজারে লম্বা জাতের এই নতুন বেগুন ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি হলেও শহরের বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি। ফলে হাত বদল হতে হতে পাইকার ও মধ্যসত্ত্বভোগীরা লাভবান হলেও প্রান্তিক চাষিরা দেখছেন না লাভের মুখ। পাইকারি এ হাটে বেগুন, শসা, মরিচ,পটল ও লাউসহ অন্যান্য সবজির সরবরাহ প্রচুর হলেও সে তুলনায় চাহিদা কম থাকায় বাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছে বলে কৃষকরা জানান। এদিকে পাইকারী এ বাজারে শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২০/২৫ টাকা দরে। করোনা প্রভাবের আগে শসার পাইকারী দর ছিল প্রতিকেজি ৩০ টাকা। বর্তমানে শহরের বাজারগুলোতে প্রতি কেজি শসার খুচরা দর ৪০ টাকা।

এছাড়া মরিচের দাম আগের তুলনায় একেবারে পড়ে গেছে। খুচরা বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরের কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫/৩০ টাকা দরে। কাঁচা মরিচের পাইকারী বাজার দর আরো কম। ফলে উৎপাদিত পন্যের প্রকৃত দাম প্রান্তিক চাষিরা পাচ্ছেন না। 

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় আড়ৎদাররা জানান, সবজির বাজার এখন নিন্মমুখি। তবে সবজির বাজার উঠা-নামা করে। এছাড়া চাহিদা ও সরবরাহের উপর সবজির মত কাঁচামালের দাম নির্ভর করে।

আগামীনিউজ/মিজান