Dr. Neem on Daraz
Victory Day

COVID-19 এর ছোবলে ভারতীয় বিজ্ঞানীর মৃত্যু 


আগামী নিউজ | | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২০, ১০:১৬ পিএম COVID-19 এর ছোবলে ভারতীয় বিজ্ঞানীর মৃত্যু 

ঢাকা: জীবাণু নিয়েই ওঠাবসা, কাজকর্ম। আর সেই জীবাণুর ছোবলেই প্রাণ খোয়াতে হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইরোলজিস্টকে। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন ৬৪ বছরের বিজ্ঞানী গীতা রামজি। এই নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নোভেল করোনা ভাইরাস প্রাণ কাড়ল ৫ জনের।

প্রতিষেধক আবিষ্কার এবং HIV নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা কাজ ছিল গীতা রামজির। সাউথ আফ্রিকান মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এক সপ্তাহ আগেই লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। কোনও অসুস্থতা ছিল না, করোনা ভাইরাসের কোনও উপসর্গও দেখা যায়নি। তা সত্ত্বেও আচমকা তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। COVID-19 পজিটিভ রিপোর্ট আসে। চিকিৎসার বিশেষ সুযোগ দেননি। আর তাই নিয়েই আক্ষেপ করছেন সাউথ আফ্রিকান মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট গ্লেনডা গ্রে। তিনি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, “প্রফেসর গীতা রামজি COVID-19 সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন। আজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।”

আফ্রিকান মহিলাদের HIV সমস্যা মেটাতে ভিন্ন পথে গবেষণার কাজ করে বিশ্বের চিকিৎসা মহলে এক নজির তৈরি করেছিলেন গীতা রামজি। গোটা গবেষণা কাজের অধিকাংশ টাই তিনি কাটিয়েছেন HIV-এইডস নিয়ে। ২০১৮ সালে তাঁর এই নজিরবিহীন কাজের জন্য ইউরোপিয়ান ডেভেলপমেন্ট ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালসে সেরা মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে পুরস্কার পান। পুরস্কার হাতে নিয়ে সেসময় তিনি বলেছিলেন, “HIV-এইডস গোটা বিশ্বে যে মহামারির আকার নিচ্ছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। এই কাজ করতেই আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম।”

প্রবীণ রামজি নামে ভারতীয় বংশোদ্ভুত দক্ষিণ আফ্রিকার এক ফার্মাসিস্টকে বিয়ে করেছিলেন গীতা। পরিবার বলতে এইই। কীভাবে গীতা রামজির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে, তা এখনও জানা যায়নি। যেহেতু করোনায় মৃত্যু হলে, শেষকৃত্য একেবারে WHO’র গাইডলাইন মেনে করতে হয়, তাই এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন গ্লেনডা গ্রে। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সেখানেও ২১ দিনের লকডাউন চলছে। তবে অনেকেই এখনও লকডাউন সেভাবে মেনে চলছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাউথ আফ্রিকান মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল।

আগামী নিউজ/বিআর