Dr. Neem on Daraz
Victory Day

পত্রিকায় নারী নির্যাতনের খবর ছাড়া কিছু নেই: রিজভী


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২১, ০৫:২২ পিএম
পত্রিকায় নারী নির্যাতনের খবর ছাড়া কিছু নেই: রিজভী

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ খবরের কাগজ খুলে শুধু নারী নির্যাতনের খবর ছাড়া আপনারা কিছুই দেখবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের র‌্যালির আগে সোমবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আইয়ুব খান উন্নয়নের দশক করেছিল, স্বৈরাচারী শাসকের উন্নয়নের দশক। আর শেখ হাসিনার উন্নয়নের একযুগ আমরা দেখলাম। সেই উন্নয়ন হচ্ছে নারী নির্যাতনের উন্নয়ন। খবরের কাগজের পাতা খুলে শুধু নারী নির্যাতনের খবর ছাড়া আপনারা কিছুই দেখবেন না। বর্তমান যে সময় সে সময় আমরা সরকারের লোকজনের কাছ থেকে অনেক কথা শুনি। উন্নয়নের চাকচিক্যের কথা শুনি, কিন্তু উন্নয়নের চাকচিক্যের আড়ালে কত নারীর বোবা কণ্ঠ, কখন নারী-শিশুর গোঙ্গানির শব্দ এই আমলে হয়েছে তার হিসেব নেই।

তিনি আরও বলেন, কার কথা বলব! মিতুর কথা বলবো না তনুর কথা বলব না খাদিজার কথা বলব!

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমার কাছে বিস্ময়কর হয়ে উঠেছে সংবাদপত্রের পাতায় খবরটি এসেছে মাননীয় প্রধান বিচারপতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলার শুনানিতে তিনি বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া ঠিক নয়। আবার বলেছেন, অন্যান্য দেশেও ব্যঙ্গচিত্র হয় কিন্তু বাংলাদেশের ব্যঙ্গচিত্র অন্যরকম। এতে দেশের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়। কিন্তু আমি একটি প্রশ্ন রাখতে চাই, মাননীয় প্রধান বিচারপতি যখন কোনো নাগরিকের কথা বলা, মুক্তকন্ঠে আওয়াজ তোলা, কোন নাগরিকের চিত্রাঙ্কন সে যদি করে ব্যাঙ্গ চিত্র করে তাকে যদি সরকারি হেফাজতে খুন করা হয় তাহলে সেটাতে কি দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাই কিনা? এটাতো জনগন জানতে চাইতেই পারে। আপনি প্রধান বিচারপতি, আপনি যে অভিমতগুলো দিয়েছেন এটা অবশ্যই শিরোধার্য। কিন্তু এই যে বলেছেন, ব্যঙ্গচিত্র করলে দেশের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়। তাহলে কার্টুন আঁকার জন্য সরকারি হেফাজতে, পুলিশ হেফাজতে যদি তাদেরকে হত্যা করা হয় তাতে কি দেশের ইমেজ বাড়ে?

রিজভী বলেন, বাংলাদেশ নাকি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। পুলিশ উৎসব করবে। পুলিশ উৎসব করবে কেন? পুলিশ তো একটি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। আমরা কয়েক দিন পর দেখবো যশোরের এসপি, তিনি এসপি আবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। ফেনীর এসপি, তিনি এসপি আবার আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক। অর্থাৎ রাষ্ট্র, দল ও প্রশাসন সব একাকার। স্বৈরাচারী যে সমস্ত দেশ সেসব দেশে এগুলো দেখা যায়।

আজকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তনু, মিতু ও রাফিদের আর্তনাদ ভেসে আসছে। তাই জাতি হিসেবে আপনাদের আরও সোচ্চার হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। কারো কোনো নিরাপত্তা নেই, আপনার সন্তানেরও নিরাপত্তা নেই। সন্তানের নিরাপত্তার জন্য এ সরকারের পতন ছাড়া কোনো বিকল্প নাই— বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

আগামীনিউজ/নাসির

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে