Dr. Neem on Daraz
Victory Day

যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের গাড়িবহরে হামলা, আহত ১২


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২০, ০৪:৫০ পিএম
যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের গাড়িবহরে হামলা, আহত ১২

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লাঃ জেলার হোমনা উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন থেকে ঢাকায় ফেরার পথে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাসহ ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে সম্মেলন ও কাউন্সিল শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন নিখিল। তখন ঘটনাটি ঘটে। উপজেলা যুবলীগের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কায়সার বেপারী এ ঘটনায় বাদী হয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় হোমনা থানায় একটি মামলা করেছেন।

মামলায় যুবলীগ নেতা শাহ আজম বিটু, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান ও ছাত্রলীগ নেতা কামরুলসহ ৩০ জনের নামে এবং আরও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মো. মনির হোসেন মাস্টার নামে একজন যুবলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হামলার ঘটনায় নব নির্বাচিত সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কায়সার বেপারীর নেতৃত্বে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার হোমনা উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাতে সম্মেলন পরবর্তী দ্বিতীয় পর্ব কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম নিখিল। উপস্থিত ছিলেন ওই দিন সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সারওয়ার হোসেন বাবু, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন ও এম শাহাদাত হোসেন তসলিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ম. রুহুল আমীন ও সাধারণ সম্পাদক মো. রোশন আলী মাস্টার।

কাউন্সিলে খন্দকার নজরুল বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সভাপতি ও বিপুল ভোটে সাধারণ সম্পাদক পদে কায়সার বেপারী নির্বাচিত হয়। পরে নিখিলসহ অতিথিরা ঢাকা ফিরছিলেন। এ সময় পরাজিত সাধারণ সম্পদক প্রার্থী শাহ আজম বিটুর কর্মী-সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের গাড়িবহরে হামলা করে।

এ সময় নব নির্বাচিত সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলামের একটি নতুন নোয়া গাড়ি (ঢাকা মেট্রো- ১৯-৪৬১০) ভাঙচুর করা হয়। এতে সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলামসহ অন্তত আরও ১২ জন আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সালাহ উদ্দিন (২০) ও আবদুর রহমান বাবুল (৪০) নামে দুইজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা হলেন- রেজাউল করিম, রাসেল, মাহমুদ, বাপ্পি, জনি, শাকিল, মো. ফরিদ, মামুন, শরীফ।

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও বাদি কায়সার বেপারী বলেন, ‘শাহ আজম বিটু কাউন্সিলে আমার বিপক্ষে হেরে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলা করেছেন। নবনির্বাচিত সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’

নবনির্বাচিত সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিটু কাউন্সিলে বিপুল ভোটে কায়সার বেপারীর সঙ্গে হেরে গিয়ে অতিথিদের গাড়িবহরে হামলা করেছে। ওরা আমাকেসহ আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর আক্রমণ করেছে। আমার একটি নতুন গাড়ি ভাঙচুর করেছে।’

এদিকে শাহ আজম বিটুর নাম্বারে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, ‘উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন শেষে হামলার ঘটনায় থানায় ৩০ জনের নামে ও আরও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়েছে। একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’

আগামীনিউজ/এএইচ  

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে